প্রবাস মেলা ডেস্ক: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকের পর মোদি বলেছিলেন, বিশ্বের স্থিতিশীলতা ও কল্যাণের জন্য ভারত ও সৌদির সুসম্পর্ক অত্যন্ত জরুরি।
জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময়ে দু’দেশের আটটি চুক্তি হয়েছে। প্রস্তাবিত ভারত-পশ্চিম এশিয়া-ইউরোপ আর্থিক করিডরেও অংশীদার সৌদি আরব।
দুই দেশের সম্পর্কে নতুন নতুন মাত্রা যুক্ত হলেও কাশ্মির নিয়ে তার পুরনো অবস্থান এখনও ধরে রেখেছে সৌদি আরব। বরং জাতিসংঘে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর কাশ্মির সংক্রান্ত গোষ্ঠীর বৈঠকে কাশ্মির নিয়ে মন্তব্য করে ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান। তিনি কাশ্মির নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘মধ্যস্থতা’ করার চেষ্টার কথা বলায় দিল্লির অস্বস্তি আরও বেড়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ সভার অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে গিয়েছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল। ২০ সেপ্টেম্বর সেখানে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে কাশ্মির কন্ট্যাক গ্রুপ আয়োজিত এক বৈঠকে যোগ দেন তিনি। ওই বৈঠকে তিনি বলেন, কাশ্মির এশিয়ার ওই এলাকার নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সৌদি আরব সব সময়েই ওই সমস্যা মেটাতে দু’পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছে। মুসলিমদের নিজেদের পরিচিতি রক্ষার লড়াইয়ে সৌদি আরব সব সময়েই তাদের পাশে রয়েছে। কাশ্মির সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।
ওই বৈঠকে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস গিলানি দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির কথা কাশ্মির বিষয়ক যোগাযোগ গ্রুপটিকে অবহিত করেন। বৈঠকে সৌদি আরবের বহুপাক্ষিক আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী আব্দুর রহমান আল-রাসি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান আল-দাউদও উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: আরব নিউজ, আনন্দবাজার।