শেখ এহছানুল হক খোকন, কুয়েত সিটি, কুয়েত প্রতিনিধি: কুয়েতে গত ১১ জুন ২০১৮ নারায়ণগঞ্জের গোলাপবাগ কুতুবপুর গ্রামের ফতুল্লা থানার মো: আনোয়ার হোসেন মিলন নামে কুয়েত এর আহমেদ নেদাছ ওয়েলিং কোম্পানিতে (আঠারো নম্বর ভিসায়) আসেন। গত ২০ আগস্ট নিজ কর্মস্থল হতে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগটি করেন কোম্পানির পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত বি-বাড়ীয়ার কুয়েত প্রবাসী মো: মিজানুর রহমান। তিনি জানান, মিলনের ভাই কুয়েত প্রবাসী সেলিম তার ভাইয়ের ব্যাপারে মিজানুর রহমানের কাছে একটি কাজের ভিসা চেয়ে অনুরোধ করেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তার কোম্পানি থেকে মিলনকে ভিসা দেন।
কুয়েতে আসার পর ১ মাস ৩ দিন কাজ করেই চুরি করে পালিয়ে যান মিলন। এ সময়ে সে কর্মস্থলে ঠিকমত কাজ না করে আপত্তিজনক অনেক কর্মকান্ড করে যা সবার কাছে প্রশ্নের জন্ম দেয়। মিজানুর আরো বলেন, বাংলাদেশি হিসাবে গুরুত্ব দিয়ে মিলনকে কুয়েত নিয়ে আসেন এক মাস কাজ করেন প্রজেক্টে কিন্তু তার দক্ষতার ব্যাপারে যা বলা হয়েছিল তার কিছু আলামত না পেয়ে হতাশ হয়ে যান। পাশাপাশি ডিউটিকালীন সময়ে মিলন বিভিন্ন জনের সাথে ঝগড়া করেই যেতো।
তিনি আরো বলেন বর্তমানে কুয়েত আসতে হলে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা লাগে কিন্তু আমি মিলনের ভিসা ফ্রি দিয়ে আনি, ট্রাভেলস টিকেট মেডিকেল খরচ সহ তা মিলনের দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়নি বরং এখানেও একটা চালাকি করেন। তিনি বলেন, তার কোম্পানীতে প্রায় ৮০ জনের মত লোক কাজ করে ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কা, মিশরি সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার অনেকে কিন্তু একজন বাংলাদেশির জন্য দশজন বাংলাদেশি সমস্যার সৃষ্টি হয় তার প্রমান মিলন পাশাপাশি বদনাম হয় মালিক ও দেশের ।
বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান, আরাবি সহ সকল শ্রমিক তাদের মালিক মিজানুর রহমান ভালো মানুষ এবং বেতন, খাবার সহ সব নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছে যা পেয়ে তারা খুশী সবাই। প্রবাসী হয়ে মিজান কুয়েত এসে অনেক দুঃখ কষ্ট নিজ চোখে দেখেছেন তাই তিনি শ্রমিকদের সহযোগিতা করার কাজটি করেন আন্তরিকতার সাথে কিন্তু মিলনদের মত কেউ বিদেশ এসে এমন আচরন মেনে নেয়া যেমন সহজ নয় পাশাপাশি খারাপ বুদ্ধি দিয়ে মানুষ বিপদগামী করে ভালো কিছু আশা করা যায় না তাই সকল মানুষ বিবেকবান হয়ে দেশ ও পরিবারের সুখ শান্তি সমৃদ্ধশালী করবে সে পথে হাটা উচিত সকলের।