রনি মোহাম্মদ, লিসবন, পর্তুগাল প্রতিনিধি: কোভিড-১৯ এর মতো জাতীয় দূর্যোগে স্থানীয় নাগরিকদের পাশাপাশি পর্তুগালে বসবাসরত অনিয়মিত ও অবৈধ অভিবাসীদের সরকারী জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা, স্যোশাল সিকিউরিটি থেকে আর্থিক সহায়তা প্রধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্তুগাল সরকার। সেই সাথে এই সিদ্ধান্ত পর্তুগালের অবস্থানরত বিভিন্ন অ্যাসাইলামের আশ্রয় গ্রহণকারীরাও এর আওতাধীন থাকবেন। উল্লেখ্য, গেল সপ্তাহে পর্তুগালের অভিবাসীদের ২০টি অ্যাসোসিয়েশন সহ পর্তুগালে অবস্থানরত শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্র, লেখক, নিরাপত্তাকর্মী সহ বিভিন্ন পেশার অভিবাসী মানুষেরা কোভিড-১৯ এর মতো জাতীয় দূর্যোগে সকল অভিবাসীর সমান অধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য সরকারের কাছে লিখিতভাবে দাবি জানান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পর্তুগাল সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ক্লাউদিয়া ভেলোসো ২৭ মার্চ ২০২০ এক বিবৃতিতে বলেন, পর্তুগালের অভিবাসী প্রাথীগণ অনিয়মিত ও অবৈধ হওয়াই এমন দূর্যোগ মুহূর্তে সরকারি স্বাস্থ্য সেবা সহ বিভিন্ন সেবা থেকে দূরে থাকতে পারে না। তাদের সরকারি বিভিন্ন সেবার লক্ষ্যে ও অধিকার নিশ্চিতের আদেশ প্রদানের জন্য পর্তুগিজ সরকারের বিশেষ আইন ৬২/২০২০ করা হয়েছে।
এই আইনের ফলে চলতি বছরের ১৮ই মার্চ পর্তুগালের বর্তমান জরুরি অবস্থা জারির দিন পর্যন্ত যারা পর্তুগালের ইমিগ্রেশন সেন্টারে ৮৮ ও ৮৯, ৯০ অনুচ্ছেদের অধীনে যারা বৈধ হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন সকলেই এর আওতাধীন থাকবেন। এছাড়াও সাধারণ নাগরিকদের যাদের বৈধ কাগজের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের আগামী ৩০শে জুন পর্যন্ত সকল প্রকার কাগজের বৈধ মেয়াদ থাকবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। সেই সাথে, করোনাভাইরাসের দূর্যোগকালীন সময়ে পর্তুগাল সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশন সার্ভিসকে পাঠানো নির্দেশনায় জানানো হয়, ইমিগ্রেশন সার্ভিসে নিবন্ধনের প্রমাণ স্বরূপ যে কাগজ অভিবাসীদের হাতে রয়েছে সেটি বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্যান্য স্থানীয় সাধারণ নাগরিকদের মতো সকল সরকারের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা, স্যোশাল সিকিউরিটি থেকে সহায়তা, কাজের কন্ট্রাক্ট সই করা, নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা সহ সব ধরণের সরকারি কাজে নিবন্ধনের জন্য বৈধ কাগজ বলে গণ্য হবে উল্লেখ করেন।