আকি সীমা কাওসার, রোম, ইতালি প্রতিনিধি: ইতালির রোমসহ আশেপাশের শহরের স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা । বিভিন্ন শহরে করোনা ভাইরাস দিনদিন ছড়িয়ে পড়ছে । মৃতের সংখ্যা ইরানকে ছাড়িয়ে গেল।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সারাবিশ্বে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনা ভাইরাসের কারণে সারাবিশ্ব একে অপর দেশের সাথে বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে , অনেক দেশের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে । ইউরোপসহ এশিয়ার অনেক দেশেই বাংলাদেশিরাসহ অন্যান্য দেশের মানুষ বিভিন্ন দেশে আটকা পড়েছে, অপেক্ষায় আছে কখন নিজ দেশে স্বজনদের কাছে ফিরতে পারবে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইউরোপের দেশ ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ জনে। মঙ্গলবার দেশটির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা এ খবর নিশ্চিত করেছেন ।
কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টা নতুন করে আরও ২৭ জন মারা গেছে। ফলে ইতালিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যায় ইরানকেও ছাড়িয়ে গেলো । ইতালির রোম সহ অন্যান্য শহরগুলোতে বিভিন্ন দেশের অধিবাসীদের সাথে সাথে বাংলাদেশিদেরকেও অনেক চিন্তিত হতে দেখা গেছে। কয়েকজন বাংলাদেশি বলল তাদের ফ্যামিলি দুই একজন মেম্বার বাংলাদেশে আছেন বাকি দুই একজন ইতালিতে। তারা অনেক চিন্তায় দিনযাপন করছেন তারা চায় সুখে-দুখে অন্তত ফ্যামিলি যেন একসাথে থাকতে পারে ফ্যামিলির কাজের প্রয়োজনে বাংলাদেশে আসা তাদের । গত দু’দিনে ইতালির কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়, তাতে ইতালিতে যাওয়া অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি আটকা পড়েছে, তাদের নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্স অফিসগুলোতে সরেজমিনে দেখা গেছে সবার মধ্যে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। কখন তারা নিজ ফ্যামিলির কাছে ইতালিতে ফেরত যেতে পারবে। তারা অপেক্ষায় আছে কখন তাদের নির্দিষ্ট ফ্লাইটটি নিরাপদে নিজ ফ্যামিলির কাছে ইতালিতে নিয়ে যাবে ।

আলজাজিরা আরো জানায়, সোমবার পর্যন্ত ইতালির বিভিন্ন শহরের হিসাবমতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩৬ জন। যা মঙ্গলবারে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০২ জনে। এ সংখ্যা বেড়ে আরো দ্বিগুণ হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ইতালির লোম্বারদিয়া, ভেনেতো, পিওমন্তে ও ভেনেসিয়া অঞ্চলে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ইতালির ভেনিস উৎসবসহ ফুটবল লীগ, নাইট ক্লাব ও জাদুঘর বন্ধ রয়েছে। আক্রান্ত এলাকায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে চলাচল করতে নিষেধ করা হয়েছে। জানা গেছে ইতালির রোম শহরসহ আশেপাশের শহরের স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি সরকারিভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ১৫ মার্চ ২০২০ তারিখ পর্যন্ত ।