প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বে-সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সকল রোগিদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে জসস্বার্থে HRPB এর পক্ষে দায়ের করা রীট মামলায় ২টি নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (HRPB) এর জনস্বার্থে করা একটি রীট মামলায় হাইকোর্ট ২টি নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট এবং শুনানির জন্য রেগুলার বেঞ্চে প্রেরণ করেছেন।
শুনানিতে এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন যে, চিকিৎসার অভাবে মানুষের মৃত্যু মৌলিক অধিকারের লংঘন এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ জর, সর্দি, গলা ব্যথার বা অন্যান্য যে কোন রোগের চিকিৎসা নিতে গেলে করোনার ভয়ে বে-সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ডাক্তারদের চিকিৎসায় অনিহা দেখা যাচ্ছে। রোগির চিকিৎসা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ডাক্তার ও নার্সদের নিরাপিত্তাও গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু প্রাথমিকভাবে করোনা রোগিকে বাছাই করাতে না পারলে সমস্যার সমাধান হবে না। এ কারণে প্রত্যেকটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রবেশ পথে/গেটে হলুদ জোন করে সকল রোগিদের চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন। তিনি হলুদ জোনে দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্যদের চিকিৎসার জন্য প্রযোজনীয় পিপিই, গ্লোভস, সার্জিকাল মাক্স, অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার আইটেম এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশনা প্রার্থনা করেন। এডভোকেট মনজিল শুনানিতে আরও বলেন যে, এ রকম মহামারি প্রতিরোধে সংসদে আইন পাস করে উপদেষ্টা কমিটিকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে কিন্তু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৮ এর ৬ ধারা অনুসারে উপদেষ্টা কমিটে যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে কিনা তা নিশ্চিত হতে একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা প্রার্থনা করেন।
সরকার পক্ষে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন অযথা এ রীট পিটিশন করা হয়েছে কারণ সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকারকে বিব্রত করার জন্য এ মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন কোন আইনের ব্যত্যয় হলে রীট করা যায় এখানে সেরকম হয়নি, তাই মামলা চলেনা, শুধু শুধু মামলা করা হয়েছে। জবাবে এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য উপরস্থ কোন রেফারেন্সে চিকিৎসা হবে না তাই চিকিৎসার সুযোগের জন্য রীট মামলাটি করা হয়েছে। তিনি বলেন আদালতের নির্দেশে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে, পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এমনকি সংক্রামক আইনের ৩, ৫(২), ৭ ধারা লংঘিত হয়েছে।
আদালত ডেইলী স্টার পত্রিকার একটি রিপোর্ট এর রেফোরেন্স দিয়ে বলেন মহামারি প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার ।
গত ১১ মে, ২০২০ তারিখে হাইকোর্টের ভার্চুয়াল আদালতে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদি সংগঠন এইচআরপিবি এর পক্ষে এডভোকেট মনজিল মোরসেদ রীট পিটিশনটি দায়ের করলে আজ শুনানি শেষে আদালত নিম্নোক্ত অন্তবর্তিকাীলন আদেশ প্রদান করেছেনঃ
১) বে-সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে দায়িত্বরত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্যদের চিকিৎসার জন্য প্রযোজনীয় পিপিই, গ্লোভস, সার্জিকাল মাক্স, অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার আইটেম এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ২-৪ নং বিবাদিরকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
২) আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপদেষ্টা কমিটির নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সুপারিশ সমুহ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য নির্দোষ প্রদান করা হয়েছে।
HRPB এর পক্ষে রীট পিটিশনার হলেন এডভোকেট মো: ছারওয়ার আহাদ চৌধুরি এবং এডেভোকেট একলাছ উদ্দিন ভুইয়া। বিবাদিরা হলেন উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য সচিব, ডিজি হেলথ, অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল), বে সরকারি হাসপাতালে ও ক্লিনিক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান/সেক্রেটারি।
বাদি পক্ষে শুনানি করেন শুনানি এডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও সরকার পক্ষে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।