ক ম জামাল উদ্দীন, জেদ্দা, সৌদি আরব প্রতিনিধি: খাদেমুল হারামাইন শরীফাইনের কিং সালমান বিন আব্দুল আজিজ বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস আক্রান্তেরদের চিকিৎসা প্রয়োজন এমন যে কোনও দেশের নাগরিক, বৈধ ও অবৈধ প্রবাসীদের ও চিকিত্সার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়া বরাত দিয়ে দেশটির বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক সৌদি গেজেট সোমবার নিউজ প্রকাশ করছে।
আল-রাবিয়াহ আরও বলেন করোনা ভাইরাস জনিত লক্ষণ দেখা গেলে সকলকেই বাদশাহ সালমানের নতুন আদেশের অধীনে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বিনা সংকোচে সরকারি বেসরকারী যে কোন হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) কে আল-রাবিয়াকে বলেছেন, এর মধ্যে দেশটির নাগরিক এবং বৈধ-অবৈধ ভিসা ধারী প্রবাসীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাদশাহ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা সতর্কতামূলক এ ব্যবস্থা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সেবা নেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন। বর্তমানের সৌদি আরবে কয়েক হাজার প্রবাসী দেশটির আইনগতভাবে তথা শ্রম মন্ত্রণালয়ের ধার্যকৃত লেবি ফি সহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে রেসিডেন্স কার্ড তথা আাকামা নবায়ন করতে না পারায় অবৈধ হয়ে আছেন । তাদের মন সব সময় ছোট হয়ে থাকত, করোনা জনিত যদি কিছু হয়ে যায়, কোথায় যাবে কীভাবে কী করবে অনেকটা হতাশা এবং ভয় নিয়ে মনের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের উঁকি দিত। সৌদি বাদশাহর এই আদেশের মাধ্যমে তাদের সব ভয় সংকোচ দূর হয়ে গেল।
ইতিমধ্যে, করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সৌদিতে সরকার ঘোষিত ২১ দিনের আংশিক কারফিউতে আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জেদ্দায় কারফিউয়ের সময় আরও বাড়িয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার পরিবর্তে বিকেল ৩টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত করা হয়েছে জেদ্দার কারফিউয়ের সময়। রোববার ২৯ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে।এর আগে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশটির অন্যতম পবিত্র ও ব্যস্ততম এলাকা মক্কা, মদিনা ও রাজধানী রিয়াদে বিকেল ৩টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউর নিয়ম কার্যকর করা হয়। এর আগে ২৩ মার্চ থেকে দেশটিতে ২১ দিনের আংশিক কারফিউ শুরু হয়। তখন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউর সময় ঘোষণা করা হয়। পরে মক্কা, মদিনা, রিয়াদ এবং সর্বশেষ জেদ্দা এই চারটি শহরে এসময় বাড়িয়ে বিকেল ৩টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সৌদিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ২৯৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ গেছে ৮ জনের। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং ৩৭ হাজার ৮৪২ জন মারা গেছেন।