আখি সীমা কাওসার, রোম, ইতালি প্রতিনিধি: ইতালিতে করোনার নতুন উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এজন্য ইতালির ডাক্তাররা সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে শিশুদের পায়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন। শিশুদের পায়ে বিশেষ রকমের ফোসকা-দাগ দেখা গিয়েছিল ইতালিতে ৷ ইতালির ত্বক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, কোভিড ১৯ আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা গিয়েছিল ৷ চিকিৎসকদের নিজের ভাষায় এই বিষয়টাকে বলা হয় কোভি়ড টোজ ৷ ইতালির ত্বক বিশেষজ্ঞদের দেখানো এই পথ ধরেই ইউরোপ ও আমেরিকা এটাকেই করোনা ভাইরাসের নতুন লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ৷ করোনাভাইরাস এর সংক্রমণের ফলে খুদে কিম্বা কিশোরদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে ৷ এরকম ফোসকা পড়া পা রঙ বদলে যাওয়ার লক্ষণও দেখা গেছে ৷ মেরুদেশীয় বা অতিশীতল এলাকায় যেভাবে পায়ে বরফের প্রভাবে র্যাশ বের হয় এখানেও ওই ধরণের উপসর্গই দেখা যাচ্ছে ৷ এক্ষেত্রে রক্তবাহিকা ধমনীতে জ্বালা শুরু হয় তারপর হয় স্প্যাজম ৷ এটাকেই সহজ ভাষায় চিকিৎসকরা বলেছেন কোভিড টোজ ৷
ইতালিতে যে এলাকাগুলো করোনা বিধ্বস্ত সেখানে বহু রোগীর ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা গিয়েছিল৷ এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই সিম্পটম দেখা যেতে শুরু করেছে ৷ মূলত বোস্টনে এখন এই বিষয়টি পাওয়া গেছে ৷ এদিকে ইতালিতে যে শিশুদের মধ্যে এই বিষয় দেখা গেছে তাদের মধ্যে কোভিডের চেনা বাকি কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি ৷ করোনাভাইরাস অতিমহামারির আকার নিয়েছে তার কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগি অ্যাসিম্পটমেটিক হয়েছে। প্রকৃত কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা হচ্ছে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা ৷ এদিকে অ্যাসিম্পটমেটিক রোগিদের ক্ষেত্রে এবার আর একটা নয়া লক্ষণ গোলাপি চোখ ৷ করোনার চেনা সংক্রমণের লক্ষণ গুলি হল জ্বর, সর্দি, কাশি নিঃশ্বাসের কষ্ট ৷ মানুষের কাছে এখনো মূলত অজানা শত্রু এই রোগ ৷ জ্বর যেকোনো রোগেরই লক্ষণ ৷ একাধিক রোগের বহিঃপ্রকাশ হয় এই জ্বর দিয়েই ৷ এবারো করোনার ক্ষেত্রে জ্বর হলে মানুষ সহজ ভাবে বুঝতে পারবে তার শরীরে কোনো ধরণের অস্বস্তি হচ্ছে । এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবার জন্য বলা হয়েছে ।