মো: জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, রিয়াদ, সৌদি আরব প্রতিনিধি: বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে দীর্ঘদিন লকডাউন ও কারফিউ জারি থাকায় কর্মহীন অসহায় ও গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি।অসহায় এই ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গার্ডিয়ান ফোরাম। গার্ডিয়ান ফোরামের সভাপতি মঈন চৌধুরী নেতৃত্বে প্রবাসী ও পরিবার নিয়ে বসবাসরত পরিবার গুলোর মাঝে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে উপহার হিসেবে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী ও বিতরণ করা হয়েছে ।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠন এর প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইলিয়াস, সাধারণ সম্পাদক হাবিব পাটোয়ারী, আতাউর রহমান মুকুল, মাহবুব আলম, মোহাম্মদ ইদ্রিস, মোক্তার হোসেন, কমর উদ্দিন, নূর মোহাম্মদ নূর, মোরশেদ, রায়ান উদ্দিন, মকবুল হোসেন, মোস্তফা কামাল, করম উদ্দিন মোহাম্মদ ফারুক, জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ দেলোয়ার মোহাম্মদ নাঈম উদ্দিন, সাখাওয়াত, আবু তাহের, জাহাঙ্গীর বাচ্চু প্রমূখ।
সংগঠনের সভাপতি মঈন চৌধুরী বলেন, সৌদি আরব বর্তমানে অনেকেই প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবার নিয়ে দেশটিতে অবস্থান করছে, এই পরিস্থিতিতে অনেক পরিবারের সমস্যা কথা কাউকে বলতে পারছে না, আমরা এই সমস্ত প্রবাসী পরিবার ও প্রবাসীদের খুঁজে বের করে তাদের পরিচয় গোপন রেখে রমজান উপলক্ষে সামান্য কিছু খাদ্য সামগ্রী উপহার হিসেবে দিয়ে আসছি এবং এই প্রক্রিয়াটি চলমান থাকবেও বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গার্ডিয়ান ফোরামের অভিভাবকগন এগিয়ে এসেছে তার জন্য আমি আমার সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা চাহিদা অনুযায়ী শতভাগ দিতে পারব না জানি তন্মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা করতে চেষ্টা করেছি প্রবাসীদের কিছুটা হলেও চাহিদা পূরণ করতে হলে বাংলাদেশের সরকারের পপাশাপাশি সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও সচ্ছল ব্যাক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
নাম না প্রকাশ করা এক প্রবাসী বলেন, সৌদি আরবে লকডাউন ও কারফিউ জারির পর থেকে অনেক কষ্টে পরিবার নিয়ে জীবন-যাপন করছি, লজ্জায় কাউকে বলতে পারছিলাম না কিন্তু গার্ডিয়ান ফোরাম খবর নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসায় কষ্টের মাঝে কিছুটা হলেও তৃপ্তি যোগাবে। আমি গার্ডিয়ান ফোরামের সকল সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত দেশটিতে এই পযন্ত করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪০৯৭জন। মৃত্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছেন ১৬৯জনে। অন্যদিকে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৩৫৫৫ জন। খবরটি নিশ্চিত করেছে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।