প্রবাস মেলা ডেস্ক: দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার (২৩ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে কোনো শক্ত প্রতিপক্ষ না থাকায় অনেকটা একতরফা এ নির্বাচন হচ্ছে। ফলে ক্ষমতাসীন হুন সেনের দলের জয় প্রায় নিশ্চিত। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের পর বছর প্রতিপক্ষ দলগুলোর ওপর নির্দয় দমনপীড়ন চালানো কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টির (সিপিপি) সঙ্গে রোববারের ভোটে যারা অংশ নিচ্ছে, তাদের কেউই ক্ষমতাসীনদের শক্ত প্রতিপক্ষ নয়। এবারের নির্বাচনে সিপিপির সঙ্গে বাকি যে ১৭টি দল লড়ছে, সর্বশেষ ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তারা পার্লামেন্টে একটি আসনও জেতেনি।
কম্বোডিয়ার এবোরের নির্বাচনটি অন্য কারণে গুরুত্বপূর্ণ। হুন সেন তার বড় ছেলে হুন মানেটের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা ঘটলে ৩৮ বছর দেশকে নেতৃত্ব দেয়া সাবেক এ খেমার রুজ গেরিলার শাসনের অবসান হবে।
গত বৃহস্পতিবার তিনি মানেট ‘তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে’ প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন-এমন ইঙ্গিত দেন। তব প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য হুন সেনপুত্রকে অবশ্যই পার্লামেন্টের কোনো আসনে জয়ী হতে হবে।
রোববার রাজধানীর নমপেনে একটি কেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর হুন সেন হাসিমুখে সমর্থকদের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন। তবে তিনি তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
হুন মানেট খুব বেশি সাক্ষাৎকার দেননি, তাই এক কোটি ৬০ লাখ জনসংখ্যার কম্বোডিয়া নিয়ে তার চিন্তাভাবনা কী, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায় না।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর এবং ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি নেয়া মানেট ওয়েস্ট পয়েন্ট মিলিটারি অ্যাকাডেমিতেও পড়াশোনা করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হুন সেনের সময়ে কম্বোডিয়া যেভাবে চীনের ছায়াতলে আছে, তার ছেলে তা থেকে বেরিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সখ্যতা গড়তে চাইবে কি না তার ওপর সবার নজর থাকবে।