হেদায়েত তুর্কী
তিনি ছিলেন মূলত কবি ছড়াকার কলামিস্ট ও লেখক। সঙ্গীত জগতে আসার পেছনে আছে এক মর্মান্তিক দুঃসহ বেদনাময় স্মৃতি, যা না ঘটলে হয়তো তাঁর গান লেখাই হতোনা। ঘটে যাওয়া এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনার বাস্তব বিবরণ দিয়ে ভবিষ্যতে নাটক উপন্যাসও রচনা হতে পারে। আসতে পারে পর্দায়ও। শুরুতেই বেদনাবিধুর দৃশ্যপটের চুম্বক কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা আবশ্যক মনে করছি।
২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনের বেশ কয়েকদিন পূর্ব থেকেই লেখকের পরম শ্রদ্ধেয় পিতা মহান আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তাঁর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী সাথীদের সফরসূচি থাকায় ও তাদেরকে সাথে পাওয়ায় তাদের সফরসঙ্গী হয়ে উত্তরবঙ্গ সফরে যান তাবলীগ জামাতের চল্লিশ দিনের চিল্লায়।
উক্ত নির্বাচনে সকল জনমত জরীপে এগিয়ে থাকা অপর প্রার্থীকে নানান কুট কৌশলে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে ঘায়েল করে ফলাফল ছিনতাই করে নেয়, এর আগেকার নির্বাচনে পরাজিত নানান অভিযোগে অভিযুক্ত বিভিন্ন মামলার আসামী এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। ওই ব্যক্তিটি তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামলেননা কেন, ওইসময় তাবলীগ জামাতে কেন গেলেন, মসজিদে এবাদতরতো জেনেও নির্বাচনের দু-তিনদিন পরে লেখকের পিতার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে জানতে চায়! শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে দেখে নেবার হুমকী ধামকী দিতে থাকে কর্কশ ভাষায়! হঠাৎ চরম বিদ্বেষপূর্ণ আক্রমনাত্বক হুমকী ধমকীতে মসজিদের ভেতরেই হতবিহব্বল হয়ে পড়েন হুমকীদাতার প্রায় পিতার বয়সী লেখকের বয়োবৃদ্ধ পিতা, যিনি একজন হার্টের রোগীও!
কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে মসজিদে অবস্থানরতো অবস্থায়ই এসব হুমকী ধামকীর কথা ফোনে পুত্রকে জানান পিতা। এসব শুনে লেখক হন খুবই মর্মাহত। লেখকের পিতা এলাকার প্রবীণ মুরব্বী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নির্বাচিত সহকারী কমান্ডার এবং সাবেক নির্বাচিত উপজেলা কমান্ডের কার্যনির্বাহী সদস্য। লেখক ভাবলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা পরিবার পরিজন ও প্রাণের মায়া বিসর্জন দিয়ে ১৯৭১এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীন না করলে আজ এসব ধান্দাবাজরা চেয়ারম্যান হয়ে ধান্দাবাজি ও জুলুম করতে পারতো না। বাংলাদেশে চেয়ারম্যানদের জন্ম হতেই থাকবে যুগ যুগ ধরে, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার জন্মতো আর হবেনা! যাদের জীবন বাজী রাখা বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য আমরা পেলাম একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, সেই দেশেরই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তার পক্ষে মাঠে না নামার কারনে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে হুমকী ধামকী দিয়ে বিতর্কিত ওই চেয়ারম্যান পার পেয়ে গেলে ভবিষ্যতে এভাবে আরও নীরিহদের হেনসস্থা করার করার দুঃস্বাহস যে দেখাবেনা তারইবা নিশ্চয়তা কোথায়। যতো বাধা বিপত্তি হামলা টামলাই আসুক, এসব মুখোশধারীদের মুখোশ জাতির সামনে তুলে ধরার দায়িত্ব কলমযোদ্ধাদেরকেই নিতে হবে।
লেখক এর পূর্বে শুধু কবিতা ছড়া প্রবন্ধ নিবন্ধ ও কলাম লেখতেন, যা জাতীয় স্থানীয় দেশী বিদেশী বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিয়মিত ছাঁপা হতো। কিন্তু গান বা সঙ্গীত তাঁর দ্বারা তখনও লেখা হয়নি। গান বা সঙ্গীত লেখতে অনেকটা সাহসও করেননি তিনি। কিন্তু এক বজ্জাতের হুমকীর ওই ঘঠনাই লেখকের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় প্রবলভাবে। মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন যত কঠিনই হোক গান লিখা শুরু করতে হবে। কারন গানের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ের গভীরে পৌছে তাদের মনের কথা যেভাবে প্রকাশ করা সম্ভব অন্য কোন মাধ্যমে তা প্রকাশ ততোটা সহজ নয়। লেখক সিদ্ধান্ত নেন যে তাঁর লেখা গানগুলি হতে হবে প্রতিবাদী গান। সমাজ সচেতনতার গান। ঘুমন্ত তথা মজলুম মানুষকে জাগিয়ে তোলার গান। জাগ্রত জনতার গান। মুখোশধারী বর্ণচোরাদের মুখোশ উন্মোচনের মাধ্যমে সুস্থ সমাজ বিনির্মানের গান। ভবিষ্যতে আর যাতে কোন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বা আম জনতার কাউকেই এভাবে কোন হিংস্র হায়েনা বা তার প্রেতাত্মা দ্বারা লাঞ্চিত হতে না হয়, সঙ্গীতের মাধ্যমে এসব মুখোশধারীদের মুখোশ উন্মোচন করার গুরু দায়িত্ব জীবনের প্রবল ঝুঁকি নিয়েই কাঁধে নেন লেখক। ভাবনা রূপান্তর হয় বাস্তবে। একসময় সঙ্গীত রচনায় সফলও হন তিনি। প্রথমেই রচনা করেন সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় ‘আমরা ঘরর তাইন’ শিরোনামের ব্যতিক্রম ও ভিন্নধারার প্রতিবাদী গানটি। গানটিতে সুরও দেন লেখক নিজেই। গানটি দেশি বিদেশী বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হতে থাকলে দেশে বিদেশে জনপ্রিয়তা পায় আকাশচুম্বী। ছোট বড় এমনকি ঘরে ঘরে শিশু কিশোরদের মুখে মুখেও উচ্চারিত হতে থাকে গানটি।
আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি লেখককে। প্রায় প্রতিদিনই লেখা হয় গান। একদিনে সতেরটি গান রচনার রেকর্ডও লেখকের ঝুলিতে আছে। এ পর্যন্ত সহস্রাধিক গান লিখতে সমর্থ হয়েছেন লেখক। তবে লেখকের গানগুলি ব্যতিক্রমধর্মী এবং বেশিরভাগ গানই প্রতিবাদী। মুখোশধারীদের মুখোশ গানের মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এতো বেশি আর কোন গীতিকার তুলে ধরেছেন বলে আমাদের জানা নেই। লেখকের প্রথম অ্যালবামও বের হয় ‘আমরা ঘরর তাইন’ শিরোনামে। বাংলাদেশ ছাড়াও লন্ডন সৌদি দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর রেকর্ড সংখ্যক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন দেশ বিদেশে অবস্থানরতো লেখক কবি সাংবাদিক সাহিত্যিক ও গুণীজনেরা।
গ্রন্থটির ভূমিকায় বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ সিরাজুল হক লিখেন, ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধার গর্বিত সন্তান কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল নিজ মেধা যোগ্যতা ও কর্মতৎপরতার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অর্জন করেছেন ঈর্ষনীয় সাফল্য। লেখক কবি সাংবাদিক কলামিষ্ট গীতিকার সুরকার পূঁথিকার ছাড়াও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সিলেটের এ আলোকিত সন্তান একজন সফল সুদক্ষ সংগঠক ও নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবী।
সিলেট বিভাগের মেধাবী তরুন কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘সিলেট লেখক ফোরাম’, বীর মুক্তিযোদ্ধার গর্বিত সন্তানদের নিয়ে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্ম’ এবং ২০১৭ সালে বিজয়ের মাসে আর্ত মানবতার সেবার ব্রত নিয়ে গঠন করেন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা এম আলী ফাউন্ডেশন’। এছাড়া বিশ্বনাথের ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের দাবী বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে বিশ্বনাথের আলোকিত সন্তানদের নিয়ে গঠন করেন ‘বিশ্বনাথ উপজেলা গ্যাস বাস্তবায়ন পরিষদ’।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনগুলির মাধ্যমে পালন করে যাচ্ছেন সাহিত্য সংস্কৃতি সমাজ উন্নয়ন ও সেবামুলক সৃজনশীল নানা কর্মসূচি। যা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে দেশ বিদেশের গুণীজন ও সুধীমহলের মধ্যে। আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবের সফল আয়োজন, লেখক কবি সাহিত্যিক ও গুণীজন সম্মাননা, প্রয়াত গুণীদের সম্মানে তাদের স্মৃতিময় ঐতিহাসিক স্থানসমুহে বিশেষকরে শীতালংশাহ, দুরবীনশাহ, হাছন রাজা, আবদুল করিম, রাধারমণ, নূরুল হক’র বাড়ীতে গিয়ে সফল অনুষ্ঠান আয়োজন। আলোকিত মা-বাবা সম্মাননা, মেধাবীদের সম্মাননা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অবদান, পরিবেশ রক্ষায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপনের আয়োজন, ফলজ ঔষধী ও পরিবেশবান্ধব বৃক্ষ রোপনের জন্য সামাজিক আন্দোলন, অসহায়দের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ফ্রি ঔষধপত্র প্রদান। চিকিৎসা সহায়তা, বিবাহ সহায়তা, প্রতিবন্ধিদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ, আবহমান গ্রাম বাংলার বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যকে লালন করতে পিঠা ও ঘুড়ি উৎসবসহ নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন। ক্রীড়াক্ষেত্রে সহযোগিতা ও বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়ানুষ্ঠানের আয়োজন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ, ক্রীড়া সামগ্রী, টিফিন বক্স এবং নির্যাতিত নীপিড়িত অসহায়দের মধ্যে শীতবস্ত্রসহ আর্থিক সাহায্য বিতরণ এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো, বিশ্বনাথের ঘরে ঘরে গ্যস সরবরাহ, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ, বাসিয়া নদী রক্ষা ও খননসহ বিশ্বনাথবাসীর সকল ন্যায্য দাবী দাওয়া আদায়ে আন্দোলন, দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, কমপিউটার ও সেলাই মেশিন বিতরণসহ বহুমুখী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০১৮’র একুশে বইমেলায় সঙ্গীত পিপাসুদের জন্য কবির হাজারো সঙ্গীতের মধ্য হতে বাছাই করা ভিন্ন আমেজের জনপ্রিয় ১০১টি পাঁচমিশালী গান নিয়ে প্রকাশিত হয় ২য় সঙ্গীত গ্রন্থ তেতুল। উল্লেখ্য লেখকের লেখা পূঁথি তাঁরই কন্ঠে লন্ডনের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল এস এ প্রচারিত হয়।
লেখকের কাঁচা পাকা আধাপাকা অত্যধিক টক মিস্টির সমাহার ১০১টি পাঁচমিশালী সঙ্গীতের গ্রন্থ (যা লেখকের ২য় সঙ্গীতগ্রন্থ) তেতুল এর ভুমিকায় গ্রন্থের ব্যবস্থাপকদ্বয় লিখেন, কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল’র প্রথম সঙ্গীতগ্রন্থ ‘আমরা ঘরর তাইন’। এ পর্যন্ত প্রকাশিত ১। আমরা ঘরর তাইন, ২। মতলবর চাচা, ৩। লন্ডনী ভাইছাব, ৪। প্রেমেরই কাঙ্গাল, ৫। মুখোশ, ৬। প্রতিচ্ছবি, ৭। মজলুমের আর্তনাদ নামক সাত সাতটি সঙ্গীতের অ্যালবামের মধ্যে প্রথম অ্যালবামের নামও ‘আমরা ঘরর তাইন’। অ্যালবামগুলি এবং গ্রন্থটি বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, জাপানসহ দেশ বিদেশের অগণিত পাঠক ও শ্রুতাদের আকর্ষন করে চুম্বকের মতো। রেকর্ড সংখ্যক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন শহরে।
বাংলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি মহল্লায়, প্রতিটি অঞ্চলে আমরা ঘরর তাইনদের নির্যাতনে সহজ সরল সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ। লেখকের নিজ এলাকায়ও ‘আমরা ঘরর তাইন’র হিংস্র ছোবলে জনসাধারন তটস্থ। ‘আমরা ঘরর তাইন’ অ্যালবাম এবং গ্রন্থটি আলোর মুখ দেখার সাথে সাথেই তেলে বেগুণে জ্বলে উঠে ‘আমরা ঘরর তাইন’ ছদ্দনামের হিংস্র হায়েনা ও তার প্রেতাত্মারা। ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধার গর্বিত সন্তান গীতিকার কবি নাজমুল ও তাঁর পরিবারকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে রাতের আধারে গৃহপালিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, সঙ্গীতগুলিতে উল্লেখিত সেই কুৎসিত চরিত্রের মঞ্চায়ন করতে থাকে একে একে।
সালিশী বিচারের নামে নীরিহ জনসাধারনদের হেনস্থা করার খড়গ চালায় খোদ লেখকের উপর। প্রতিরোধ বা আইনী সহায়তা লাভের জন্য শুভাকাঙ্খীদের পরামর্শ স্বত্ত্বেও লেখনির মাধ্যমে সমাজের বাস্তব প্রতিচ্ছবি তুলে আনতে, লেখার মাল মশলা এবং উপকরণের জন্যই জীবন বাজী রেখে চ্যালেঞ্জের সাথে নীরবে তা সহ্য করতে থাকেন লেখক। লেখকের উপর হায়েনাদের কুৎসিত আচরন লেখার গতিকে করে আরও শানিত। ফলশ্রুতিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মানুষ নামের জংলী পশুগুলির হিংস্র আচরন সঙ্গীতের মাধ্যমে তুলে ধরে ভিন্ন ধারার ভিন্ন আমেজের সহস্রাধিক সঙ্গীত উপহার দিয়ে দেশে বিদেশে জনপ্রিয়তার উচ্চ শিখরে আরোহন করছেন লেখক। পুরস্কারও পেয়েছেন অনেক। লেখকের সফলতা ও স্বার্থকতা এখানেই। লেখকের অগণিত সঙ্গীতের ভান্ডার হতে ১০১টি সঙ্গীত নিয়ে ২য় সঙ্গীতগ্রন্থ ‘তেতুল’ প্রকাশ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
গ্রন্থটিতে প্রকাশিত অনেকগুলি সঙ্গীতেই সমাজের কুৎসিত ‘আমরা ঘরর তাইন’ নামের মানুষরূপী বর্ণচোরা হিংস্র জানোয়ারদের বাস্তব চরিত্র ফুটে উঠেছে। অনেকগুলি সঙ্গীত দেশ বিদেশের বড় বড় অনুষ্ঠানগুলিতে গেয়েছেন নামী দামী শিল্পীরা। সঙ্গীতগুলি ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় সাধারন মানুষের মুখে মুখেও উচ্চারিত হতে শুনা যায়। সমাজের বাস্তব প্রতিচ্ছবি নিয়ে গান লিখে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা অর্জন যে সম্ভব, বাস্তবে তা প্রমাণ করেছেন কবি নাজমুল ইসলাম মকবুল।
মরমী কবি শিতালং শাহর নামানুসারে শিতালং প্রকাশন থেকে প্রকাশিত সাড়ে তিন ফর্মার বইটিতে আছে সিলেটের আঞ্চলিকসহ পাঁচমিশালী ১০১টি মজাদার গান। বইটি উৎসর্গ করেছেন লেখকের আম্মু ও আব্বুর নামে। অফসেট কাগজে মুদ্রিত ও ফোর কালার নজরকাড়া চমৎকার ও লোভনীয় প্রচ্ছদে শোভিত বইটির ভেতরের আট পৃষ্ঠা ফোর কালার গ্লসি পেপারে মুদ্রিত। এতে লেখকের পূর্বের গ্রন্থ ও অ্যালবামগুলির লন্ডন সৌদিসহ দেশে বিদেশে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ছবি স্মৃতির পাতায় জ্বলজ্বল করছে। ভিন্ন আমেজের ভিন্ন স্বাদের সম্পুর্ণ ব্যতিক্রম এ বইটির মুল্য রাখা হয়েছে একশত টাকা, দশ ডলার ও পাঁচ পাউন্ড যা সঙ্গীত পিপাসুদের হাতের নাগালেই বলা যায়।
কবির সৃজনশীল সকল কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে এবং সঙ্গীতগ্রন্থটি যেন পূর্বের গ্রন্থ ও অ্যালবামগুলির মতো পাঠক ও শ্রুতাদের নিকট সমাদৃত হয় এ কামনা নিরন্তর।
(লেখক: নাট্যকার ও অভিনেতা, সহকারী রেজিষ্ট্রার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা)।