প্রবাস মেলা ডেস্ক: রাশিয়ার আধাসামরিক ওয়াগনার গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাজ্য। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার নিষেধাজ্ঞার আদেশটির অনুমোদন দেয় ব্রিটিশ সরকার। দলটির প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ পর এই ঘোষণা দিলো যুক্তরাজ্য। খবর বিবিসির।
নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাজ্যে হামাস, বোকো হারামসহ অন্যান্য ৭৮টি নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকায় সবশেষ যুক্ত হলো ওয়াগনার বাহিনীর নাম। ব্রিটিশ সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাজ্যে ওয়াগনারের সদস্য হওয়া বা একে সহায়তা এখন থেকে ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য হবে। তাই এই অভিযোগে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে।
বিবিসি জানায়, গত কয়েক মাস ধরে ওয়াগনারকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ এমপিরা। অবশেষে দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন হতে অনেক সময় লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ওয়াগনার আধাসামরিক গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠা করেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। এরপর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অধীনে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার একটি প্রধান হাতিয়ার হয়ে ওঠে তারা। সিরিয়া, লিবিয়া, মালি ও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের মতো দেশে পুতিনের মিত্রদের সামনে থেকে সমর্থন ও সহায়তা করেছে তারা।
ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সংঘাতের নেতৃত্বে রয়েছে ওয়াগনার যোদ্ধারা। তাদের মাধ্যমে সোলেদার ও বাখমুতের মতো শহরগুলোতে কিছু বিরল বিজয় এসেছে রাশিয়ার। কিন্তু রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ব্যর্থ হন প্রিগোজিন যা তার দলকে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল।
গত ২৩ আগস্ট একটি সন্দেহজনক বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। মৃত্যুর পরে তাকে সেন্ট পিটার্সবার্গে সমাহিত করা হয়। প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ পর সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে দলটিকে নিষিদ্ধ করলো যুক্তরাজ্য।