অঞ্জন কুমার দে, মাস্কাট, ওমান প্রতিনিধি: প্রবাসজীবনে পহেলা বৈশাখ, ঈদ আনন্দ ব্যাপারগুলো যে নির্দিষ্ট দিনেই পালন করা হবে তা কিন্তু না। যখন সবাই অবসর জোগাড় করতে পারবে তখনই উৎসব উদযাপন করা হয়। ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ওমানের সালালাহ প্রবাসী ডাক্তার পরিবারবর্গ নতুন বছরকে স্বাগতম জানাতে সকলে একত্রিত হয়েছিলেন ইত্তিন পাহাড়ের পাদদেশে সিরাজী রিসোর্টে।
দিনটি শুক্রবার হওয়ায় আয়োজন শুরু হয়বেলা তিনটায়। প্রথমেই মধ্যাহ্নভোজন দেশীয় নানাবিধ ভর্তা সহকারে। এরপরের পর্বটা ছিলো শিশুদের অঙ্কন। অতি আবশ্যক চিত্রগ্রহণ-যা পরে এই মধুর দিনটির কথা মনে করিয়ে দিবে পরের অনেকগুলো বছর।
বাসায় তৈরী নানা ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশনা, পিলো পাসিং গেম, বল থ্রোয়িং গেম, ছেলেদের ক্রিকেট- আরো কত কি! তবে মূল আকর্ষণ ছিলো লটারী । সন্ধ্যা থেকে দেশীয় গান, আবৃত্তি, নাচ, জোকস, কোরিওগ্রাফি নিয়ে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।
নিজস্ব সংস্কৃতিকে লালন করা, তার বীজ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে বুনে দেওয়া এবং দেশের সকল ঐতিহ্যে অংশগ্রহণ করাই এই আয়োজনের উপলক্ষ। সাদা শাড়ি-লাল পাড়ে কিংবা দেশীয় ঐতিহ্যবাহী সাজে নারী এবং পুরুষদের এই আয়োজনে প্রতিটি মুহূর্তে মনের গভীরে একটা আনন্দ সঙ্গীত বেজেছে। ‘আমরা বাঙ্গালী-বাংলা মোদের গর্ব, ভালোবাসা দেবে উজাড় করে- বাংলা মায়ের জন্য।’
সবশেষে নৈশভোজের পর আবারও আড্ডা। মিলনমেলাগুলো গভীর রাত পর্যন্ত গড়ালেও কারো বাড়ি ফেরার তাড়া থাকেনা। চলে গেলেই তো শেষ হয়ে যাবে। আনন্দ কি এতো তাড়াতাড়ি শেষ হতে দেয়া যায়? প্রবাসে বেড়ে ওঠা বাচ্চারা যখন পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে কিংবা তু লাল পাহাড়ের দেশে যা গান গেয়েছে; কিংবা সুন্দর গানগুলোর সাথে নৃত্য পরিবেশনা করেছে; কিংবা প্রাপ্তবয়স্কদের নাচ-গান পরিবেশন হচ্ছিলো কে বলবে আমরা দেশের বাইরে, কে বলবে আমরা প্রবাসী।