অঞ্জন কুমার দে, মাস্কাট, ওমান প্রতিনিধি: ওমানে বাংলাদেশ দূতালয়ের প্রধান (হেড অব চেন্সারি) আবুল হাসান মৃধাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম সমিতি ওমান। এ উপলক্ষে স্থানীয় সময় ১২ নভেম্বর সোমবার রাতে মাস্কাটের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের ভালবাসায় সিক্ত হন তিনি। আবেগঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে সফল এই কূটনীতিককে বিদায় জানান ওমান প্রবাসীরা। প্রায় চার বছর দায়িত্ব পালন শেষে পদোন্নতি পেয়েছেন রাশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর হিসেবে।
চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের সভাপতি মোহাম্মাদ ইয়াছিন চৌধুরী সিআইপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব আবু সাঈদ ও দ্বিতীয় সচিব আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাটের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুর রহমান সিআইপি, সমিতির উপদেষ্টা হাজী গোফরান, সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি এস এম জসিম উদ্দিন, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম ও নুরুল ইসলাম নুরু, সাধারণ সম্পাদক তাপস বিশ্বাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল চৌধুরী, কমিউনিটি নেতা মো. রিয়াদ। উপস্থিত ছিলেন সমিতির অন্যান্য নেতা, সাধারণ সদস্য ও পরিবারের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা দূতালয় প্রধান আবুল হাসান মৃধার প্রবাসী বান্ধব ও কল্যাণমূলক নানান কার্যক্রম মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করে তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, এমআরপি সুবিধা ও আউটপাশসহ নানা কল্যাণমূলক কাজ করে তিনি স্মৃতি রেখে গেছেন অসংখ্য প্রবাসীর মনের মণিকোঠায়।
সভাপতি ইয়াছিন চৌধুরী সিআইপি দূতালয় প্রধান আবুল হাসান মৃধাকে একজন সফল কূটনীতিক হিসেবে অভিহিত করে বলেন, দক্ষতা, নিষ্ঠা আর বেশ সুনামের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে তিনি জয় করেন ওমান প্রবাসী বাংলাদেশিদের হৃদয়। চট্টগ্রাম সমিতির বিভিন্ন জনকল্যান ও সামাজিক কার্যক্রমে তাঁর আকুন্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল সবসময়।
আবুল হাসান মৃধা তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার পেছনে প্রবাসীদের বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন রেমিটেন্স প্রেরণে ওমান এখন বিশ্বের ৪ নম্বরে অবস্থান রয়েছে। প্রবাসীদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সর্বস্তরের প্রবাসীদের আন্তরিক সহযোগিতাই তাঁর কাজকে সহজ করে দিয়েছে। প্রবাসীদের এ আন্তরিক সহযোগিতা ও ভালবাসা সবসময় তাঁর প্রেরণা হয়ে থাকবে।
প্রবাসীদের কল্যানে নেয়া চট্টগ্রাম সমিতির বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাটের খেলার মাঠ সবুজায়নের জন্য চট্টগ্রাম সমিতিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেন তিনি।