অঞ্জন কুমার দে, মাস্কাট, ওমান প্রতিনিধি: প্রতি বছরের মত এবছরও ওমান এর রাজধানী মাস্কাটে বসবাসকারী একঝাঁক নারী আয়োজন করেন বৈশাখী আড্ডার। এবার আয়োজনে একটু ভিন্নতা নিয়ে আসেন আয়োজকরা। মাস্কাটের অনন্যা নারী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইয়াসমিন শাহাদাতের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় মাস্কাট সীব রিসোর্টের মনোরম পরিবেশে সারা দিনব্যাপি বাংলা নতুর বছরকে বরণ করতে এ বৈশাখী আড্ডার আয়োজন করেন ।

বৈশাখী আড্ডার উপস্থাপনায় ছিলেন জেবু ও জামাল চৌধুরী এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন তামান্না, শাহাদাত হোসেন, জামাল চৌধুরী, শামীম জসিম, কলি, সেলিম, আতিক, মিসেস আতিক, ইঞ্জিনিয়ার মনির, মাহাফুজা, মিসেস সাবু।
‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ এমন কল্যাণ প্রার্থনা দিয়েই শুরু পহেলা বৈশাখ, বাঙালিদের দিন। বিগত বছরের মলিনতা মুছে দিয়ে নতুন আলোয় স্নাত বাঙালি জাতি আজ প্রবেশ করছে নতুন বর্ষে। শুধুই বাঙালিয়ানায় মেতে ওঠা, গর্ব ভরে নিজেদের ঐতিহ্য, নিজেদের সংস্কৃতিকে ধারণ করার দিন। আজ আবহমান বাংলার রূপ প্রকৃতিকে বরণ করার দিন। আজ যে বাঁশি বাজবে নগরে বা গ্রামীণ প্রান্তরে তার সুর অমলিন বাঙালির প্রাণ থেকে নিঃসরিত হবে, মিশে যাবে হাজার বছর ধরে এই বাংলায় আমাদের প্রপিতামহদের বাজানো বাঁশির সুরে। আজ মাটির টানে ফেরা, বাঙালির শেকড় সন্ধানের দিন।

নারীরা পিছিয়ে নেই, সেটা আবারও প্রমান করল প্রবাসী ওমানের মাস্কাটে বসবাসকারী প্রবাসী একঝাঁক নারী। নারী মানেই তো কন্যা, জায়া, জননী। ঘরবন্দি প্রবাস জীবনে হাঁপিয়ে উঠলে তারা নিজেদের আনন্দ নিজেরাই খুঁজে নেয়। আর এই আনন্দ খুজে নেয়া তে তাদের সর্বদা সহোযোগিতা করেন তাদের স্বামীরা। এই এক ঝাঁক নারীদের নেতৃত্বে ছিলেন নারী নেত্রী ইয়াসমিন শাহাদাত।

পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের। কবিতা আবৃত্তি, নাচ, ছোট্ট সোনামনিদের ছড়া ও কিছু কলজয়ী গানের সম্ভার নিয়ে পুরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে।
কবিতা আবৃত্তি করেন- ইয়াসমিন শাহাদাত ও ছোট সোনামনি ময়ুর এবং ইফতেসাম। গান পরিবেশন করে মায়া, ইমতিয়াজ, টিটু, অর্পনা, নরমিন, মিলি, জেবু ও জামাল চৌধুরী, তামান্না, নৃত্য পরিবেশন করে: অর্পনা, অংকনা ও সুমনা। যন্ত্র সংগীতে সহযোগীতা করে: অঞ্জন ও ইমতিয়াজ।

দুই ঘন্টাব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি দেখার সুবিধার্থে সোশ্যাল মিডিয়া ফেইজ বুকে লাইভ দেখানো হয়।
সব বিভেদ ভুলে, নতুনের রঙ ধারণ করে। নগরে কিংবা গ্রামে থাকছে দিনব্যাপী নানা উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। এই আয়োজনে নেই কোনও সংস্কারের ছোঁয়া, নেই বিধি নিষেধের বাড়াবাড়ি ৷ সূর্যের হাসি ছড়িয়ে পুরনো বছরের সব গ্লানি, অপ্রাপ্তি, বেদনা ভুলে নব আনন্দে জাগবে বাঙালি জাতি। এই প্রত্যাশা প্রবাসে বসবাসকারী সকলের।