অঞ্জন কুমার দে, মাস্কাট, ওমান প্রতিনিধি: ওমানস্থ বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।
১৬ আগস্ট ২০১৮ মেজর জেনারেল আমিন আহমেদ চৌধুরী হলে ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল করিম এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম এন আমিন এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাস মাস্কাটের সম্মানিত দ্বিতীয় সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠান এর স্পনসর গাল্ফ এক্সচেঞ্জ এর নির্বাহী প্রধান ইফতেখার উল হাসান চৌধুরী ও রয়েল হসপিটাল এর ডাক্তার শামীম।
চার পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠান এ প্রথম পর্ব ছিল পবিত্র কোরআন খতম। ক্লাবের প্রচার সম্পাদক এর সৌজন্যে পবিত্র কোরআন খতম সম্পন্ন হয়। এর পর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় পবিত্র কোরআন তেলোয়াত এর মাধ্যমে এবং পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন ক্লাবের প্রচার সম্পাদক।
আলোচনায় অংশ নেন যথাক্রমে: ইঞ্জিনিয়র সানাউল্লাহ রাসেল, আবদুল ওয়াদুদ, জসিম উদ্দিন, ওয়াহিদ উল আলম চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়র আবদুল হামিদ, আহমদুর রহমান খান, ইঞ্জিনিয়র মোস্তফা কামাল, কিবরিয়া কালাম চৌধুরী, আলহাজ মোহাম্মদ নোমান, আজিমুল হক বাবুল, সম্মানিত প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন সভাপতি রেজাউল করিম।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনী শেখ মুজিব থেকে অবিসংবাদিত নেতা- বঙ্গবন্ধু হতে জাতির পিতা ১৯২০ হতে ৭৫’র দীর্ঘ ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর সফল নেতৃত্ব বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এবং বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সবাই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন এর মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, সকলের বক্তব্যে উঠে আসে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কথা সুতরাং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সফল হবে এবং সবাই স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারবেন।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারেনা তাই বঙ্গবন্ধুর স্থান সবার উপরে সুতরাং সোশ্যাল ক্লাব বিদেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধু স্মরণে আজকে এই আয়োজন করে এতে দলমত নির্বিশেষে সকল সংকীর্ণতার উর্ধ্বে এসে সবাই এই আয়োজনে উপস্থিত হয়েছেন এজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এ সময় ক্লাবের সিনিয়র কর্মকর্তারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন । এরপর শুরু হয় তৃতীয় পর্ব দোয়া মাহফিল। বঙ্গবন্ধু সহ এদিন যারা হত্যাকান্ডেরর শিকার হয়েছেন সকলের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ জালাল উদ্দিন। শেষে উপস্থিত সবাই নৈশভোজে অংশ নেন। বিদেশে হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেও সোশ্যাল ক্লাবের এই উদ্যোগ এবং সুন্দর সুশৃঙ্খল সফল অনুষ্ঠানের জন্য উপস্থিত সবাই ভূয়সী প্রশংসা করেন।