মোস্তফা ইমরান রাজু, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া থেকে: মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে রিক্রুটিং এজেন্সি নির্ধারনের দায়দায়িত্ব হাইকমিশনের নয় বলে বিজ্ঞপ্তী প্রকাশ করেছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন। ১৪ মে ২০২২ বৃহ:স্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তীতে বলা হয় মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রনালয়ের বরাত দিয়ে দ্যা স্টার ও ফ্রী মালয়েশিয়ান টুডে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন’কে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশ করেছে তা সঠিক নয়।
মালয়েশিয়ার বেশিরভাগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার কারিগরি যে ত্রুটি ছিলো তার সমাধান হয়েছে। একই সঙ্গে দাবি করা হয় ১৫ টি এজেন্সি এখনই কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে বাকি ১০ টি এজেন্সি হাইকমিশনের অনুমোদন পেলেই এ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে।
তবে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন বলছে, প্রকাশিত এ খবর বিভ্রান্তিকর এবং সঠিক নয়। রিক্রুটিং এজেন্সি নির্ধারনের দায় কোনভাবেই হাইকমিশনের উপর বর্তায় না। স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য ১৫২০ টি বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা মালয়েশিয়ার সরকারের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। তবে নিয়োগদাতা দেশ হিসাবে মালয়েশিয়া সরকার অটোমেটিক পদ্ধতিতে এজেন্সি নির্ধারণ করতে পারবে বলেও চুক্তিতে উল্লেখ আছে।
একই সঙ্গে ২ জুন ২০২২ মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রীর ঢাকা সফরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মী নিয়োগে আগ্রহী কোম্পানির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কর্মপরিবেশ যাচাই বাছাইয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন কাজ করে যাচ্ছে বলেও এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তীতে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য নানা জটিলতায় চুক্তি স্বাক্ষরের পরও বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি করা সম্ভব হয়নি। এর আগে ২০১৮ সালে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া সরকার।