এবিএম সালেহ উদ্দীন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র:
তারার রাত ছিল
হিমেল হিলানো জ্যোৎস্নাও ছিল ঢের
কত নীরব কষ্টের নির্যাসে
মায়ের কোল জুড়ে জন্মেছিল খোকা ।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রজনী শেষে
কুয়াশাঘেরা স্নিগ্ধভোরে ঘটেছিল আবির্ভাব ।
দক্ষিণা জানালায় বকুল বাতায়নে
মমতার মাখামাখি…
মায়ের কোল ছিল শান্ত
চোখ দু’টো ছুঁয়েছিল আকাশ নীলিমা
ঘুমকাতুরে নিভুচোখে মা তবু জাগ্রত ।
আর খোকা !
গাঢ়নিদ্রায় আচ্ছন্ন ফিনকি মেঘের লুকোচুরিতে দোল খায়
মায়ের আদর, সোহাগ আর মমতাস্নিগ্ধ মায়ার জালে
বড় হতে থাকে অবারিত গল্পের মতো ।
অনুষঙ্গের নিয়তধারায় অত:পর
আলো-আঁধারির ছায়াপথ সুন্দরে ।
মনে পড়ে শৈশব, সেই যে কিশোর বেলা
স্মৃতির বীণায় ভেসে আসে সুরের লহরি
এখনও মা গাইছেন
“খোকন সোনা বলি শোন
থাকবে না আর দুখ কোন
মানুষ হতে পারো” ।
হ্যাঁ, মার্চের এক তারিখ
তখনো ছিল বসন্ত বাতাস, অঞ্জলিময় রোদ্দুরে সকাল
ঘুম ঘুম দুপুর, উন্মিলিত বিকেলের শান্তছায়াপাতে
মায়াবী সন্ধ্যার মোহনীয় সুর
এখনও মুগ্ধতা ছড়ায়…