রেজাউদ্দিন স্টালিন:
ইবনে বতুতা ভারতবর্ষ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় রাজার দরবারে পৌঁছলো
তার বয়স হবে প্রায় অর্ধশত
রাজার দুদিকে সারিবদ্ধ অমাত্য
প্রজাবর্গ আর মাঝখানে এক যুবক বিশ বসন্তের দাগ তার দেহে
সে নিজের ঘাড়ে তাক করে রেখেছে তরবারি:
হে মহান রাজা আপনার অভিষেক আমি দাঁড়িয়েছি আত্মোৎসর্গ করতে
দেখুন আমরা বংশপরম্পরায় প্রদর্শন
করেছি আনুগত্য
আমার পিতা, তার পিতা তারও পিতা
মহোৎসবে জীবন দিয়ে প্রকাশ করেছে আনন্দ
আজ আমি এসেছি নির্ভয়ে মৃত্যুকে দেখতে
তারপর যুবকের ঘাড়ের তরবারি কোঁকিয়ে উঠলো আর খণ্ডিত মস্তক গড়িয়ে গিয়ে থামলো রাজার পায়ের সামনে
করতালিতে চমকে উঠলো কুকুর
ভীষণ আনন্দ ও আবেগে
রাজা চুমু খেলো রাণীকে
রাণীমা বললেন- ওর স্ত্রী ও সন্তানদের
জায়গা দাও দরবারের কাছে কোথাও
যেন আমার সন্তানের অভিষেক হয়
ওর পুত্রের উৎসর্গ দিয়ে
রক্তের সরু রেখা ব্যবধান তৈরি করে দেয়
আকাশ উল্টে যায়
আর বিভক্ত হয় অসংখ্য মানুষের মাথা থেকে মেরুদণ্ড
কোটি কোটি মুণ্ডহীন লোক
কৃতদাসের ভঙ্গিতে দৃশ্যমান
বেথেল হেমের পথে হাঁটছে তারা নিঃশব্দে
একটি শক্তিশালী পুনরুত্থানের আশায়
ত্রাতা আসবেন- কথা বলবেন
একটা কাটা গলা কথা বলতে পারে না
কৃতদাস মৃত্যুর পরেও কৃতদাস
ইবনে বতুতা এবার ইন্দোনেশিয়া থেকে যাবেন নতুন কোনো দেশে
নতুন উৎসর্গের আমন্ত্রণে।