প্রবাস মেলা ডেস্ক: ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তির উদ্যোগ স্থগিত করেছে সৌদি আরব। ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে রিয়াদের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। শনিবার (১৪ অক্টোবর) সৌদি-ইসরাইল আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে টাইমস নাউ।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাত বেড়েই চলেছে। হামলা-পাল্টা হামলার সাত দিনের মাথায় গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযানও শুরু করেছে তেল আবিব। অভিযানের নামে নারী শিশুসহ নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে সেনারা। সংঘাতে ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকার বিষয়টি এরইমধ্যে নিশ্চিত করেছে রিয়াদ; যা সৌদি-ইসরাইল শান্তি আলোচনার চুক্তিতেও যে প্রভাব পড়বে তা আগে থেকেই ধারণা করছিলেন বিশ্লেষকরা। এবার সেই শঙ্কাকেই সত্যি করে ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত করল রিয়াদ।
শনিবার সৌদি-ইসরাইল আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম। এরইমধ্যে মার্কিন কর্মকর্তাদের চুক্তি স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে, এ চুক্তি পুনরায় শুরুর বিষয়ে কিছুই জানায়নি তারা। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি নেতানিয়াহু প্রশাসন।
ফিলিস্তিনির স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরেই রিয়াদ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব কখনোই ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকি ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে যে আব্রাহাম চুক্তি হয়েছিল সেখানেও অংশ নেয়নি দেশটি।
তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের বিষয়ে রাজি হয় রিয়াদ। তবে, বেঁধে দেয়া হয় বেশ কিছু শর্ত। এরমধ্যে অন্যতম ছিল ফিলিস্তিন ইস্যু। গত মাসেই ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিলিস্তিন ইস্যু রিয়াদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে রিয়াদ সফরে রয়েছেন। তার এই সফরের মধ্যেই ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিকের চুক্তি স্থগিতের খবর এলো।