মো: জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, রিয়াদ, সৌদি আরব প্রতিনিধি: ফিলিস্তিনের আল-কুদস আল-শরিফে ইসরাইলী দখলদারি বাহিনী কর্তৃক মুসলিম ফিলিস্তনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলা এবং অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ইসরাইলী বসতি সম্প্রসারণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। ওআইসির নির্বাহী কমিটির এক জরুরী সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি এ নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
১৭ জুলাই বুধবার সৌদি আরবের জেদ্দায় ওআইসির এক জরুরী সভায় আরও যোগ দেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, রিয়াদ দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান ড. নজরুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম আবদুল আজিজ আল আসাফ সভায় সভাপতিত্ব করেন। ওআইসির মহাসচিব ড ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ওআইসির নির্বাহী কমিটির সদস্য বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরাও সভায় যোগ দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ধরণের কার্যক্রম শুধুমাত্র মানবিক সংকট বৃদ্ধি করে এবং দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কার্যকর আলোচনার পথ বন্ধ করে দেয়। তিনি আল-কুদস আল-শরিফকে রাজধানী হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ইসরাইলী দখলদারিত্ব দূর করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব, সাধারণ পরিষদের সভাপতি, নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির কাছে ওআইসির সদস্যদের উদ্বেগ জানাতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে বাংলাদেশের সরকারের সমর্থন ও সহানুভূতি রয়েছে এবং এ ব্যপারে বাংলাদেশের সংবিধানে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতা ও সহানুভূতি প্রদর্শন করে সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও বাংলাদেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতির কারণে এই পরিস্থিতিতেও জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক ত্রাণ সহায়তায় (UNRWA) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত বছর ৫০ হাজার মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করেছেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ওআইসির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য হিসেবে এবং জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ চালিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
সভার শুরুতে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. রিয়াদ আল মালিকি আল-কুদসে ইসরাইলী আগ্রাসনের সর্বশেষ পরিস্থিতি অবহিত করেন। সভা শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ওআইসির মহাসচিবের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে মহাসচিবের সহায়তা কামনা করেন।