আখি সীমা কাওসার, রোম, ইতালি প্রতিনিধি: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ২৫ জুন ২০২২পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের সাথে সংগতি রেখে বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম সকাল ৫:৪৫ মিনিটে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উৎসবমুখর ও আনন্দঘন এ অনুষ্ঠানে ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বীরমুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নারী নেতৃবৃন্দ, মিডিয়াকর্মীসহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মো: শামীম আহসান স্বাগত বক্তব্যে দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঊষালগ্নে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীর দূর-দূরান্ত থেকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। তিনি উল্লেখ করেন যে, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গর্ব, আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। বাঙালি জাতির এ গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক দিনে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতা, বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত ও যুগোপযোগী পদক্ষেপের ফলেই সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে প্রমত্তা পদ্মার বুকে এই সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। অসংখ্য প্রতিকূলতা ও চক্রান্ত পরাভূত করে বাঙালির স্বপ্ন পূরণের এ দিনে এ সেতু নির্মাণের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দিত করে তিনি বলেন যে, সরকার ও জনগণের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টার ফলে এই সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়েছে। রাষ্ট্রদূত আহসান তার বক্তব্যে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবার আশু সুফলসমূহও তুলে ধরেন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি এই সেতু দেশের ও সামগ্রিকভাবে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসারে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে জাতির এ মাহেন্দ্রক্ষণ উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং পদ্মা সেতুর উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। উপস্থিত সকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান শেষে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে নির্মিত গান (থিম সং) এক উৎসবের আমেজ তৈরী করে। এ গৌরবময় মুহূর্তে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সকলকে আপ্যায়ন ও মিষ্টিমুখ করানো হয়।
উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও নেতৃবৃন্দ দূতাবাসের উদ্যোগে এ বিশেষ আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান। পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।