আখি সীমা কাওসার, রোম, ইতালি প্রতিনিধি: ইতালিতে বেড়ে ওঠা আগামী প্রজন্মের শিশু কিশোরদের ইংরেজি শিক্ষায় দক্ষ করে তুলতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করেছে ‘দি ইউরোপিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ’ নামের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। স্কুলটিকে ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশী অভিভাবকদের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
দি ইউরোপিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান হাজী মো: জসিম উদ্দিন জানান, ইতিমধ্যেই স্কুলটি চালু করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশীদের ছেলেমেয়ে ছাড়াও শ্রীলংকা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের ছেলেমেয়েরা এই স্কুলে ভর্তি হচ্ছেন এবং এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি তাদের আগ্রহ রয়েছে। ভবিষ্যতে এই স্কুলটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। একটি সময় যাতে বাংলাদেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা এসে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারেন সে পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।
উল্লেখ থাকে যে, হাজী মোহাম্মদ জসিম সব সময় দেশে বিদেশে সামাজিক কাজ কর্মে এগিয়ে আসে। তিনি রাজনীতিসহ বিভিন্ন রকম সামাজিক উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম করে থাকেন। এই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলটি প্রবাসী বাংলাদেশীদের বেড়ে ওঠা ছেলেমেয়েদের যেন আরো ভালো করে ইংলিশে দক্ষ করে গড়া যায়, ইতালি প্রবাসী যেন কোন বাবা মা শুধুমাত্র ইংলিশ পড়ানোর জন্যই, ইংল্যান্ড সহ ইংলিশ ভাষার দেশে তাদের ছেলেমেয়েদের না নিয়ে যায়। কারণ ইতালিতে বাংলাদেশী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের একটি শক্ত দক্ষ সুশিক্ষিত কমিউনিটি গড়ে উঠতে হবে। যে কমিউনিটির নেতৃত্ব দেবেন আমাদের শিক্ষিত এই ছেলেমেয়েরা।
দি ইউরোপিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রনি আহমেদ জানান, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই স্কুলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হতে পারে। ইংলিশ ভার্সন এর এই স্কুলটি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে তারা লেখাপড়ার মান ধরে রাখার চেষ্টা করবেন বলে জানান। অভিজ্ঞ অধ্যক্ষ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের এই স্কুলটি যাত্রা করছে বলে জানান রনি আহমেদ।
ইতালির রাজধানীর রোমের পালমির তলিয়াতি ১৫৮৭ নম্বরে অবস্থিত স্কুলটি মেট্রো বি লাইনের পন্তে মামুলো স্টেশনের কাছাকাছি। রোমের যেকোন স্থানে থেকেই মেট্রো বি অথবা বাসে করে স্কুলটিতে পৌঁছা সম্ভব। ইতালির অভিভাবকরা বলছেন, রাজধানী রোমে এধরনের আন্তর্জাতিক মানের একটি স্কুলের খুবই প্রয়োজন ছিল। তারা এতে দারুণ খুশি বলে জানান।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়ের সাথে সংগতি রেখেই ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন নির্ধারণ করা হবে। ক্লাসরুম শিক্ষকদের রুমসহ সর্বত্রই আধুনিকতার ছাপ রয়েছে বলে জানান তারা। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও নজরে রাখছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।