আখি সীমা কাওসার, রোম, ইতালি প্রতিনিধি: ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় মুজিব জন্মশতবর্ষে মহান বিজয় দিবসের ৪৯তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসম্মত দিক বিবেচনা করে স্বল্প পরিসরে এই বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। ইতালিতে দ্বিতীয় ধাপে কোভিড-১৯ অতিমাত্রায় সংকটময় পরিস্থিতিতে প্রায় বিপর্যস্ত ইতালির প্রত্যেকটি শহর। তাই সে দিক বিবেচনা করে অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৬ ডিসেম্বর ২০২০ সকাল ৯.৩০মিনিটে দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং জাতির পিতাসহ মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব আয়োজন করা হয় দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে। শুরুতেই পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা সম্প্রচার করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাসহ কমিউনিটি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। কমিউনিটির বক্তাগণ বঙ্গবন্ধু এবং শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয় পুনঃব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত জনাব শামীম আহসান তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সকল শহিদ, নির্যাতিতা নারী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিজয় দিবসের প্রেক্ষাপট ঐতিহাসিক তথ্যসহ তুলে ধরার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’-র কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘ভিশন-২০২১’, ‘ভিশন-২০৪১’ এবং ‘ডেল্টা প্লান-২১০০’ বাস্তবায়নের লক্ষেও সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান তিনি। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বৈশ্বিক স্বীকৃতির কথা তুলে ধরেন। বর্তমান সরকারকে তিনি প্রবাসী-বান্ধব সরকার হিসেবে অভিহিত করে প্রবাসীদের সেবার মান আরো বৃদ্ধির আশ্বাস প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের শেষভাগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ, মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশের উত্তরোত্তর অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী ভার্চুয়াল মিটিংয়ে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও প্রবাসী নাগরিক, সাংবাদিক ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা অংশগ্রহণ করেন।