আখি সীমা কাওসার, রোম, ইতালি প্রতিনিধিঃ
ইতালির রাষ্ট্রদূত হলেন পেশাদার কূটনীতিক মো. শামীম আহসান এনডিসি। প্রায় এক যুগের ব্যবধানে আবার তিনি ইতালিতে ফিরছেন। বর্তমানে তিনি নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজাতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে মো. শামীম আহসান কে রোমে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে সরকার । চলতি গ্রীষ্মেই রোমে রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদারের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি। ইতালির বাংলাদেশ কমিউনিটিতে আগে থেকেই অভাবনীয় জনপ্রিয় ও আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব মো. শামীম আহসান ২০০৪ থেকে ২০০৮ রোমের বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সিলর/মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে। ২০০৮ থেকে ২০১১ আটলান্টিকের ওপারে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশন ছিলেন তিনি। নাইজেরিয়াতে হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দেয়ার আগে ২০১৪ থেকে ২০১৮ নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ইতালির প্রতিটি সিটির মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি অধ্যুষিত অধিকাংশ শহরেও স্থানীয় কমিউনিটিতে মো. শামীম আহসান বেশ জনপ্রিয় ছেলেন।
ক্লিন ইমেজের ডিপ্লোমেট মো. শামীম আহসান তাঁর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে কুয়েত ও কাতারের বাংলাদেশ মিশনে নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি ঢাকাস্থ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একাধিক পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। প্রখর মেধাবী এই মানুষটি তাঁর শিক্ষাজীবনে কোনদিন ফার্স্ট ক্লাস সেকেন্ড হননি। যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ফার্স্ট স্ট্যান্ড করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পলিটিকাল সায়েন্সে অনার্স ও মাস্টার্স উভয় ক্ষেত্রেই ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হবার গৌরবের ধারাবাহিকতায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন তিনি। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব বিদেশি নাগরিক ও সংগঠনের অসামান্য অবদান ছিলো তাঁদের নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঐতিহাসিক প্রকাশনা ছাড়াও রাষ্ট্রীয় বহু গুরুত্বপূর্ণ পাবলিকেশনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন মো. শামীম আহসান। তুখোড় এই কূটনীতিকের লেখা দু’টি বই ‘কূটনীতিকোষ’ এবং ‘আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি : সমস্যা ও সম্ভাবনা’। বিদেশ বিভুঁইয়ে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা তাঁর আজীবনের ধ্যান-জ্ঞান ও সাধনা। ব্যক্তিগত জীবনে সাদামাটা মানুষ মো. শামীম আহসানের সহযাত্রী স্ত্রী প্যান্ডোরা চৌধুরি এবং একমাত্র কন্যা। প্রবাসে কমিউনিটি বান্ধব এই কূটনীতিকের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক।