আখি সীমা কাওসার, রোম, ইতালি প্রতিনিধি: ইতালির নাপলিতে রুহুল আমিন মাতববর (৩০) নামের এক বাংলাদেশির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
জানাগেছে গত ১৩ আগস্ট সানজেননারো থেকে রুহুল আমিন নিখোঁজ হয় (প্রতিবেশীর সূত্রে জানা গিয়েছে) সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ নিয়ে কোন খোঁজ খবর নিলেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে তারা স্থানীয় পুলিশের কাছে সাহায্য চায়।
পরবর্তীতে ১৪ আগস্ট রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় সানজোসেব এলাকার একটি বাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখন এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে ।
রুহুলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সে কয়েক মাস হলো লিবিয়া থেকে সমুদ্র পথে ইতালিতে আসে। রুহুল আমিন ইতালির সিসিলো ক্যাম্পে আশ্রয় পান, কয়েক দিনের মধ্যে থাকার অনুমতিপত্র দেওয়া হবে বলে মা-বাবাকে জানান, প্রায় ২ সপ্তাহ আগে এক দল যুবক তাকে মারধর করে, এতে তার মুখে ও মাথায় গুরুত্বর জখম হয়।
২০ সেপ্টেম্বর খবর আসে রুহুল আমিনের মৃত্যু হয়েছে। কারা তাকে হত্যা করেছে, কেনই বা জখম করলো বিস্তারিত কিছুই জানেন না রুহুল আমিনের পরিবার। ইতালির পুলিশের ভাষ্য, বর্তমানে ইতালিতে বাঙালিরা নানান অপকর্মের সাথে জড়িত হচ্ছে, তাই আগামীতে বাংলাদেশিদের বেলায় আরও কঠোর নিয়ম কানুনের ব্যবস্থা নিতে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে।
ইতালির রোম সহ প্রায় প্রতিটি বড় বড় শহরে বাংলাদেশি কমিউনিটি, বিভিন্ন অংগ সংগঠন, সাংবাদিক, প্রেসক্লাবসহ প্রচুর সামাজিক সংগঠন আছে । কিন্ত ঐসব সংগঠনের কোন উদ্যোগ আজও পরিলক্ষিত হয়নি যে, বাংলাদেশের সুনামে বা ইতালির প্রবাসীদের উদ্যোগে ভালো কিছু করেছে। সংগঠনগুলো বাৎসরিক বিভিন্ন প্রোগ্রাম তথা পিকনিক আর আনন্দ উপভোগে প্রায় সারা বছর ব্যস্ত থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীণ বাংলাদেশি দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন এইসব কথা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এই প্রবাসেও আমরা অ-শৃঙ্খল রাজনীতি, সংগঠন করে আসছি পক্ষপাতিত্ব কিংবা দলা-দলিতে আমরা দেশের হিংসাত্বক মন মানসীকতার বহিঃপ্রকাশ করছি । আমারা কেউ ভাবছিনা যে প্রবাসে আমাদের দেশের মান মর্যাদা রক্ষা করে চলতে হবে। অভিজ্ঞমহল মনে করে ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসও উদাসীন যা ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতালিতে সুন্দর পরিবেশ কিংবা বাঙালিদের বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে দূতাবাসের কঠোর ভূমিকা প্রয়োজন।