আখি সীমা কাউসার, রোম, ইতালি প্রতিনিধি:
ইতালির গোয়ার্দিয়া দি ফিনানন্সা বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে জমাকৃত ২০ মিলিয়ন ইউরো জব্দ করেছে। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে ইতালি থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশী মালিকানাধীন ৬টি মানি ট্রান্সফার দোকানে জমাকৃত ২০ মিলিয়ন ইউরো যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২০০ কোটি টাকার মত, উদ্ধার করেছে দেশটির অর্থমন্ত্রণালয়ের বিশেষ মিলিটারি পুলিশ ফোর্স ‘গুয়ার্দিয়া দি ফিনান্সা’। গত ৩১ জুলাই, ২০২০ বৃহস্পতিবার দেশটির ‘রোমাটুডে’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাচারকাজে জড়িত সন্দেহে মানি ট্রান্সফার করা ৬টি এজেন্সি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও রোমসহ ইতালিতে সকল বাঙ্গালি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে ।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন । ইতালিতে জুন মাসে চাটার ফ্লাইট থেকে শুরু হওয়ার পর, ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপর একের পর মহা বিপদ নেমে আসছে । বাংলাদেশিদের মাধ্যমে করোনা ছড়ানো থেকে শুরু হওয়া, খুন, রেপ, গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরানো, ইয়াবা ব্যবসা, মাদক নিয়ে ধরাপড়া, জাল সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট দালালি, মানব পাচার, অবশেষে ২০০ শত কোটি টাকার মূল্যে ইউরো পাচার করতে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। ইতালি নিউজ মাধ্যমগুলোতে টক অফ দা নিউজ হেড লাইনে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশিদের নিউজ। মোট কথা বাংলাদেশিদের জন্য অশনিসংকেত অপেক্ষা করছে সামনে। ২০১৯ সাল থেকেই নানাকারণে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয় রোমের কিছু বাঙ্গালি মালিকানাধীন মানি ট্রান্সফারের দোকান। এখানে উল্লেখ থাকে যে, অভিজ্ঞমহল মনে করে কয়েক যুগ ধরে কিছুসংখ্যক কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের অর্জন, বাংলাদেশের সুনাম ছিল ইতালিয়ান সরকারের কাছে ।এখন দুঃখ- জনক হলেও সত্য যে, ‘কিছু দুষ্ট লোক আর, কিছু অর্থলোভী মানুষের কারণে, তা ‘আজ ধূলিসাৎ হয়ে গেল। ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই সুনাম আগামী কয়েক যুগে ফিরিয়ে আনা সম্ভব কিনা জানেনা কেউ।