আখি সীমা কাওসার, রোম, ইতালি প্রতিনিধি: বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা সমিতি ইতালির উদ্যোগে “বৃহত্তর নোয়াখালী নারী কল্যাণ সংঘ” নামের একটি নতুন সংগঠনের আংশিক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে ইতালির রাজধানী রোমে।
নারীদের উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করা এ সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শাহিন আক্তার রিনা। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সীমা কাউসার আঁখি। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন কামরুন নাহার কাঁকন এবং তৃষা সেন গুপ্তা।
সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ জানান, রোমসহ ইতালির বিভিন্ন শহরে অবস্থানরত বাংলাদেশি সংগঠনগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে এ সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন, নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চা এবং আগামী প্রজন্মের মাঝে নোয়াখালীর ভাষা ও ঐতিহ্য তুলে ধরার লক্ষ্যে কাজ করবে এ সংঘ।
সভাপতি রিনা খোকন জানান, বহুদিন ধরেই তিনি এ সংগঠনটি গঠনের স্বপ্ন দেখতেন। প্রায় এক বছর ধরে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ও পরিকল্পনার পর সংগঠনটি বাস্তব রূপ পায়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ সংঘ বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি ইতালির মূল সংগঠনের মর্যাদা বজায় রেখে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে।
সাধারণ সম্পাদক আঁখি সীমা কাউসার বলেন, তাকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে চান এবং ভবিষ্যতে ইতালির অন্যান্য শহরেও বৃহত্তর নোয়াখালী নারী সংঘ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করবেন।
সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতি ইতালির সভাপতি আলাউদ্দিন শিমুল, সহ-সভাপতি হারুনউদ্দিন জামাল, ওমর ফারুক পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সোহেল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুবুল হক টিপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বেলাল হোসেন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর নোয়াখালী বাংকার সমিতি রোম ইতালির সভাপতি মোঃ আনোয়ারুল আজিম শিমনে, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুল আমিন এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জনাব লিটন হাজারী, শাহ্ তৌহিদ কাদের, আবুল কালাম খোকন, নুরুল হুদা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন রোমে বসবাসকারী শতাধিক অনলাইন বিজনেস উদ্যোক্তা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—মাসুমা মামুন, মুন্নি রোশনারা, কবির ফাতেমা, বলি কবির ফাতেমা, সানসাইন গ্লোরি তাবাসসুম নাহার ও শান ইসতিয়াক।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই সংঘ নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।