মো: জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়, রিয়াদ, সৌদি আরব প্রতিনিধি: ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশে প্রত্যাবর্তনের দীর্ঘসূত্রতা লাঘবের লক্ষ্যে সৌদি মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শ্রম অফিস (মক্তব আমল) রিয়াদের চেয়ারম্যান সাউদ বিন সাবাব আস এঁর সাথে মতবিনিময় করেছেন দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মো: আবুল হাসান মৃধা। এ সময় দূতাবাসের কাউন্সেলর মো: হুমায়ূন কবীর ও প্রথম সচিব (শ্রম) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
রিয়াদের মক্তব আমলের চেয়ারম্যানের সাথে স্পেশাল এক্সিট সুবিধার আওতায় বাংলাদেশী কর্মীরা কিভাবে সুবিধা পেতে পারে এ বিষয়ে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান বলেন, সৌদি আরবে বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ২৮ লক্ষাধিক বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মরত রয়েছেন যাদের মধ্যে অনেকেরই ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ/ হুরুব থাকার কারণে বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য দূতাবাসে আসছেন। উক্ত সেবা গ্রহণের জন্য সৌদি আরবের দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে স্বশরীরে দূতাবাসে এসে থাকেন বা অনেকেই অনলাইনে আবেদন করে থাকেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ সংক্রান্ত প্রবাসীদের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য ফাইনাল এক্সিট ভিসা প্রদানের কাজটি করে থাকে সৌদি শ্রম অফিস এবং পরবর্তীতে ডিপোর্টেশন কর্তৃপক্ষ। ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ সংক্রান্ত অনেক প্রবাসী মারাত্মক অসুস্থতা, অঙ্গহানীসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভূগছেন যা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, মিশন উপ-প্রধান মো: আবুল হাসান মৃধা মক্তব আমলের ক্লিয়ারেন্স ইস্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য অনুরোধ করেন।
উক্ত বিষয়ে শ্রম অফিস, রিয়াদের চেয়ারম্যান জনাব সাউদ বিন সাবাব আস বলেন, স্পেশাল এক্সিট এর আওতায় এক্সিট প্রাপ্তদের বড় একটা অংশ দেশে ফেরত যাচ্ছেন না যার ফলে আবারো তারা সৌদি শ্রম আইন ভঙ্গ করছেন এবং আবারো অবৈধ হয়ে পড়ছেন। তাই উক্ত বিষয়ে দূতাবাসের জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। চেয়ারম্যান আরো বলেন, বাংলাদেশী ছাড়াও তাদেরকে ভারত, পাকিস্থান, নেপাল, ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দেশের নাগরিক যারা সৌদি শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী তাদের নিয়েও কাজ করতে হয় তারপরেও মক্তব আমল কর্তৃপক্ষ পূর্বের তুলনায় আরো বেশি আবেদন গ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন এবং দূতাবাসের পেন্ডিং আবেদনসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।