আখি সীমা কাওসার, রোম, ইতিালি প্রতিনিধি: ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নৌকা ডুবে অন্তত ৬৫ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে । আর্ন্তজাতিক রেড ক্রিসেন্ট এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, অভিবাসীবাহী নৌকাটি গত বৃহস্পতিবার লিবিয়ার জুওয়ারা থেকে রওনা হয়। ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাটি ডুবে যায়। তিউনিসিয়ার জেলেরা নৌকার আরোহীদের মধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করেন। তাঁদের মধ্যে ১ শিশুসহ ১৪ জন বাংলাদেশি। ডুবে যাওয়াদের অধিকাংশই বাংলাদেশি বলে জানা গেছে।
উদ্ধার হওয়া লোকজন জানিয়েছেন, নৌকাটি বৃহস্পতিবার লিবিয়ার জুওয়ারা এলাকা থেকে ছেড়ে আসে। প্রচণ্ড ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে এটি ডুবে যায় ।
চলতি বছর সাগর পথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার সময় যে কয়টি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে নৌকা ডুবে ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে ।
তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী বেঁচে যাওয়া লোকদের উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে এসেছে। এদের মধ্যে একজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে । তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে সংবাদ মাধ্যমগুলোকে জানিয়েছে যে, দুর্ঘটনার খবর শোনার পর পর নৌবাহিনী দ্রুত একটি জাহাজ ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিল । একটি মাছ ধরার নৌকা ডুবে যাওয়া লোকদের উদ্ধার করেছিল।
ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তা ভিনসেন্ট কোচেটেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, যারা এখনো ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাদেরকে যে ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হচ্ছে এটা অনেকমর্মান্তিক ও ভয়াবহ ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।’
ইউরোপে পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের সংখ্যা কমছেইনা । প্রতিদিনই পাড়ি দিচ্ছে বিভিন্ন দেশের শত শত অভিবাসী এবং ভয়াবহ মৃত্যুও ঘটছে প্রায় প্রতিদিনই । যদিও ইউরোপের দেশগুলো তাদের বিভিন্ন পথে আসা অভিবাসীদের ঠেকাতে নানান রকম নিয়ম-কানুন এবং প্রচেষ্টা চালাচ্ছে । তাই এখন ইউরোপে খুব সহজেই আগের মতো ঢোকা খুবই দূরহ ব্যাপার ।
বার্তা সংস্থাগুলো একটা ম্যাসেজ দিয়েছে যে এ্যাম্বাসিগুলোর মাধ্যমে যেন যার যার দেশে জোর প্রচারণা চালানো হয় যে, কোনভাবেই যেন অবৈধভাবে কোন দেশে যাওয়া না হয় । যেসব দেশগুলোতে অভিবাসী বেশি আসে সেসব দেশগুলোর নানান রকম মাধ্যমে যদি নিজের দেশের মানুষদের ভালো মতো সতর্ক করা হয় তাহলে, হয়তো কিছুটা হলেও অভিবাসী অবৈধভাবে ইউরোপে আসা কমবে ।