শেখ এহছানুল হক খোকন, কুয়েত সিটি, কুয়েত: কুয়েত শাখা আওয়ামীলীগ এর উদ্যোগে ১ সেপ্টেম্বর কুয়েত সিটির একটি হোটেলে এক শোক ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি আতাউল গনি মামুনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক শাহ নেওয়াজ নজরুলের উপস্থাপনায় এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েত এর সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি লুৎফর রহমান মোকাই আলী, আওয়ামী লীগ কুয়েত শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ কামাল, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রব মাওলা, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আহমেদুর রহমান মাসুম, শফিকুর রহমান, বংগবন্ধু পরিষদ কুয়েতের সাধারন সম্পাদক মঈন উদ্দিন, জাতীয় শ্রমিকলীগ এর সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন সহ সহযোগী সংগঠন সহ বিভিন্ন পযায়ের নেতৃবৃন্দ ও গনমাধ্যমের ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য কুয়েত প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা ও আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ, কমিউনিটির প্রিয় মুখ, বিশিষ্ট সমাজসেবক, রাজনীতৈতিক ব্যক্তিত্ব ও জিন্দাবাজারের রাজনগর উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের মেদেনীমহল গ্রামের বাসিন্দা কবি এস এম আব্দুল আহাদ ঈদ পালনে ছুটিতে দেশে অবস্থান করছিলেন। সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ৩১ আগস্ট শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নিহতের ঘটনা ঘটে। নিহত আহাদের পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে সময় দেশে ও কুয়েতে এ খবর ছড়িয়ে পরলে নেমে আসে শোকের মাতম।

এস এম আব্দুল আহাদ কুয়েত শাখা আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও কলম সৈনিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন । এই ঘটনায় কুয়েত প্রবাসীরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান। মরহুম আহাদের স্মৃতি চারন করেন সাংবাদিক আ হ জুবেদ, মইল আল ইসলাম, সেকান্দার আলী, টুটুল সহ অনেকে।
এছাড়াও তার স্মৃতিচারনে মাহফুজের লেখায় উঠে আসে “ক্ষমা করে দিবেন প্রিয় আহাদ ভাই”
এদিকে রবিবার কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাসে আওয়ামীলীগ কুয়েত শাখার পক্ষ হতে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাস্ট্রদুত এস এম আবুল কালামের কাছে খুনীদের শাস্তির দাবীতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন আতাউল গনি মামুন ও ফয়েজ কামাল।