প্রবাস মেলা ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্যতম চিন্তক ও কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফার স্মরণে ৩০ জুলাই ২০২২, শনিবার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সকাল ১০.৩০টায় এক স্মৃতিবক্তৃতার আয়োজন করেছে আহমদ ছফা রাষ্ট্রসভা ও এশীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সভা। প্রতি বছরই আহমদ ছফার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মৃতিবক্তৃতার আয়োজন করা হয়। এবারের ২০তম এই স্মৃতিবক্তৃতার এবারের বক্তা ছিলেন তাহমিদাল জামি। বক্তৃতার শিরোনাম ‘আহমদ ছফা স্মৃতিবক্তৃতা: বাঙালি মুসলমান মনে রূপান্তর’। এছাড়া অনুষ্ঠানে আহমদ ছফার জীবন ও কর্মের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে বক্তব্য রাখেন সলিমুল্লাহ খান, আবদুল হক, চিন্ময় হাওলাদার, আক্তারুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জহিরুল ইসলাম কচি।
উল্লেখ্য, আহমদ ছফা বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৩ সালের ৩০ জুন এবং মৃত্যুবরণ করেন ২০০১ সালের ২৮ জুলাই। ২০০২ সালে তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদক দেওয়া হয়। প্রথাবিরোধী ও নির্মোহ এই লেখক ও ভাবুকের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো- ‘সূর্য তুমি সাথী’, ‘পুষ্প, বৃক্ষ এবং বিহঙ্গপুরাণ’, ‘অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী’, ‘জাগ্রত বাংলাদেশ’ এবং ‘বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস’ ‘যদ্যপি আমার গুরু’, ‘বাঙালি মুসলমানদের মন’, ‘গাভী বৃত্তান্ত’।
এছাড়া তিনি বহু প্রবন্ধ লিখেছেন যা বাঙালি বিদ্যত সমাজের মানুষের মনে বিশেষভাবে রেখাপাত করেছে। তার অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে উপন্যাস: ওঙ্কার (১৯৭৫), একজন আলী কেনানের উত্থান-পতন (১৯৮৮), মরণবিলাস (১৯৮৯), অলাতচক্র (১৯৯৩), গাভী বিত্তান্ত (১৯৯৫)
অনুবাদ: তানিয়া (মূল: পি. লিডভ) (১৯৬৭), সংশয়ী রচনা: বার্টাণ্ড রাসেল (১৯৮২), ফাউস্ট (মূল: ইয়োহান ভোলফ্ গাঙ ফন গ্যোতে) (১৯৮৬)।
কবিতা: জল্লাদ সময় (১৯৭৫), দুঃখের দিনের দোহা (১৯৭৫), একটি প্রবীণ বটের কাছে প্রার্থনা (১৯৭৭), লেনিন ঘুমোবে এবার (১৯৯৯), আহিতাগ্নি(২০০১)।
গল্পসংগ্রহ: নিহত নক্ষত্র (১৯৬৯)।
কিশোর গল্প: দোলো আমার কনকচাঁপা (১৯৬৮)।
শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ: গো-হাকিম (১৯৭৭)।