মোহাম্মদ মোরশেদ, দুবাই, ইউএই প্রতিনিধি: সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রতি বছরের মতো এবারও রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করা হয়। প্রবাসী সংগীতশিল্পী ইয়াসমিন কালাম মেরুনার আয়োজনে আইডিন বুটিক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গুলশান আরা এর পৃষ্ঠপোষকতায় এবং সংহতি সাহিত্য পরিষদ আরব আমিরাত শাখার সহযোগিতায় ‘রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ২০১৮’ অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় শারজায় স্থানীয় একটি হোটেল বল রুমে আয়োজিত রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রবাসী শিল্পীরা কবিতা পাঠ সহ রবীন্দ্র ও নজরুলের গান পরিবেশ করে আগত অতিথি ও দর্শকদের মুগ্ধ করে রাখেন। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি উৎসবমুখর পরিবেশে স্মরণ করেন বাংলা সাহিত্যের দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে। অনুষ্ঠানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবি প্রতিভা ও বাংলা সাহিত্যে তাদের অবিস্মরণীয় অবদান স্মরণ করা হয়। স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিল তাদের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্সিয়াল কাউন্সিলর ড. এ কে এম রফিক আহম্মেদ। অনুষ্ঠানে বক্তরা বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানিয়ে নতুন প্রজন্মকে রবীন্দ্র-নজরুল সাহিত্য পাঠে আগ্রহী করে তোলার জন্য অভিভাবকদের আহ্বান জানান। মোঃ পাবেল ও সোনিয়ার সঞ্চালনায় এতে আমিরাতের বিভিন্ন কমিউনিটির ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথ-নজরুল ইসলাম ছিলেন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তাদের চিন্তা-চেতনা-দর্শন আমাদের ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে লালন করতে পারলে আমরা সঠিক মানুষ হতে পারবো। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী এবং তাদের বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা হয়। পরে এই দুই মহান ব্যক্তিত্বের অমর সৃষ্টি নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক ও নৃত্য পরিবেশন করেন বিভিন্ন শিল্পীরা। সংঙ্গীত পরিবেশনা করেন রেহেনা মশিউর, জসিম উদ্দিন পলাশ, অনন্দিতা সুমি, জাভেদ আহাম্মেদ মাসুম, আফতাব মুনির ও রঞ্জিত বরুয়া। কবিতা আবৃতি করেন পাবেল, সোনিয়া, আলমা, দিবা, গুলশান আরা, আরিফা, লুৎফুর রহমান ও সুমি। নৃত্য পরিবেশনা করেন ফারা সামস, তিসা সেন, পুষ্পিতা ও মৌমিতা।