প্রবাস মেলা ডেস্ক: টিভি মিডিয়ার প্রিয়মুখ এ্যানি খান। নাটক ও বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিংয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন হরহামেশা। তবে দীর্ঘ দিন নতুন কোনো কাজের সঙ্গে নেই জনপ্রিয় এ টিভি অভিনেত্রী। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে মার্চ মাস থেকেই তিনিও বাসায়ই অবস্থান করছেন। ঈদের পর ছুটি শেষ হলেও অভিনয়ে তিনি এখনই নিয়মিত হচ্ছেন না । সম্প্রতি মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে তার কারণও জানালেন। এ্যানি বলেন, এমন একটা পরিস্থিতিতে সবার মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, কাজে ফেরার মতো পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি বলে আমার মনে হয়। কখন ফিরতে পারবো এখনো তা নিশ্চিত করে বলতে পারা আমার জন্য কঠিন। আমার মনে হয়, করোনার জন্য এ ছুটি আমার জন্য আশির্বাদ। আমি এই ছুটিতে নিজেকে নতুনভাবে খুঁজে পেয়েছি। জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। অনেকেই এ ছুটি শেষ হওয়ার প্রহর গুনেছেন। আর আমি তা কাজে লাগিয়েছি ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে। প্রতিনিয়ত মহান আল্লাহকে ডেকেছি। নামাজ আদায় করছি। আল্লাহ চাইলে কিনা পারেন। আমি আল্লাহর রাস্তায় হাঁটছি। এটা বলতেই যেন শান্তি অনুভব করি প্রতিনিয়ত।

দেশের করোনা পরিস্থিতিতে ছুটিতে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক ও সদ্য শেষ হওয়া ঈদের জন্য একটি নাটকে কাজ করেছেন এ্যানি। এর মধ্যে রয়েছে, ‘ইস্টি কুটুম’, ‘ফরেন ভিলেইজার’, ‘চিটিং মাস্টার’ ইত্যাদি। এছাড়া এসএ টিভিতে প্রচার চলতি অনুষ্ঠান ‘শাইন অন’ এর কাজও করেছেন তিনি। ক্যামেরার সঙ্গে এ্যানি খানের সখ্যতা সেই ছোটবেলা থেকেই। ক্লাস থ্রিতে পড়াকালীন ফু ওয়াং ফুডসের একটি বিজ্ঞাপন চিত্রে মডেল হয়েছিলেন তিনি। পরে একাধিক বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হয়েছেন এ্যানি। ‘অব্যক্ত আপন’ নামের একটি টিভি নাটকে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ে অভিষেক হয় তার। তখন তিনি ক্লাশ সেভেনের ছাত্রী। আবুল হায়াত, তারিক আনাম, চঞ্চল চৌধুরীর মতো সিনিয়র আর্টিস্টদের সাথে অনেক জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন চিত্রে তিনি অভিনয় করে সবার নজর কেরেছেন। একসময় নাটকের অভিনয়ে তার ব্যস্ততা বেড়ে যায় । ‘সাদা শাড়ি লাল পাড়’ নামে একটি নাটকে আভিনয় করে ব্যাপকভাবে নির্মাতাদের নজরে আসেন। এরপর ‘রমিজের আয়না’, ‘চরাচর’সহ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করে নিজের ক্যারিয়ার এগিয়ে নেন এ্যানি খান। করোনা উপদ্রুত সময়ে সবকিছুর মতো শুটিংও বন্ধ। ব্যস বাসায় বন্দি। কেমন দিন কাটালেন? এ প্রশ্নের উত্তরে দ্বিধাহীনভাবে তিনি বলেন, এ ছুটি কারো কারো জন্য বিরক্তির আবার হতাশারও। তবে আমার জন্য এ ছুটি আশীর্বাদের।
সংবাদসূত্র: দৈনিক মানবজমিন