সম্পাদকীয়:
পৃথিবীর সব দেশে সবার কাছেই প্রিয় তাদের মাতৃভাষা। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। এই ভাষাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় চরম মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতি মাতৃভাষার মর্যাদা ও অধিকার আদায়ে প্রাণ দিয়েছে। রচিত হয়েছে অভূতপূর্ব ইতিহাস। বুকের রক্ত দিয়ে সালাম, সফিক, বরকত, জব্বার, রফিক যে ইতিহাস রচনা করেছেন, সেটিই হয়ে উঠেছে বাঙালির অধিকার আদায়ের, মাথা নত না করার চির প্রেরণা।
জাতিসংঘের ইউনেস্কোর স্বীকৃতির মাধ্যমে ২১ ফেব্রুয়ারি এখন বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। মাতৃভাষার জন্য বুকের রক্ত দেওয়ার গৌরবময় শোকের ঐতিহ্যকে বিশ্বজনীন আনন্দে রূপান্তরিত করার প্রয়াস পেয়েছে বাঙালি। এই আধুনিক প্রযুক্তির যুগে বাংলা ভাষাকেও আধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হতে হবে। মায়ের ভাষায় প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলা ভাষায় লেখাপড়া ও চর্চা এবং ভাষাকে টেকসই করার জন্য বিশেষজ্ঞজনদের থেকে পরামর্শ নিয়ে সরকারিভাবে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের পাড়ি দেয়া নতুন ঘটনা নয়। এরইমধ্যে এই অবৈধ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবিতে শত শত বাংলাদেশির সলিল সমাধি হয়েছে। এ সংবাদ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এমন প্রেক্ষিতেও, প্রবাসী আয়ে আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ।
তথ্যমতে, গত বছরের ডিসেম্বরেই প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন প্রায় ১৫৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডিসেম্বরের এই অঙ্ক আগের মাস নভেম্বর ও গত বছরের ডিসেম্বরের চেয়েও বেশি।
শ্রমখাতে আরেকটি আশার খবর হলো, ঘাটতি মেটাতে ইতালিসহ ইউরোপের বেশকিছু দেশে অভিবাসী কর্মীর প্রয়োজন। ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে স্পন্সর ভিসায় ৪ লাখ ৫২ হাজার শ্রমিক নেবে ইতালি। এর মধ্যে চলতি বছর ১ লাখ ৫১ হাজার শ্রমিক যাওয়ার সুযোগ পাবে দেশটিতে। ইতালিসহ প্রবাসের বিভিন্ন দেশে গমনেচ্ছুদের এ বিষয়ে বেশ সতর্কতার সাথে কাজ করা উচিত।
সবার সহযোগিতা নিয়ে প্রবাস মেলা ১০ম বর্ষে পদার্পণ করলো। প্রবাস মেলার অগ্রযাত্রায় অকৃত্রিম ভূমিকা রেখেছেন এর লেখক, পাঠক, শুভানুধ্যায়ী ও বিজ্ঞাপনদাতা। তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাই। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।