রানা সাত্তার, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: আনোয়ারার ১৫নং ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দায়ে ৩ ডিসেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার ২ জনকে আটক করে আনোয়ার উপজেলা প্রশাসন। বিমানবন্দর সংলগ্ন কর্নফুলীর মোহনায় ১৫নং ঘাটের সোনালী দিনের সাক্ষী হয়ে এখনও জমজমাট কর্ণফুলীর সেই ১৫ নম্বর ঘাট।
সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়ায় কর্ণফুলীর বেশিরভাগ ঘাট এখন প্রাণহীন হলেও শুধু ব্যতিক্রম ১৫ নম্বর ঘাট। পতেঙ্গা ঘাটের অপর তীরে আনোয়ারা অংশে রয়েছে সিইউএফএল, কাফকো, ডিএফসিএল সার কারখানা, কেইপিজেড সহ নানা গুরত্বপূর্ণ অফিস ও স্থাপনা। আর পতেঙ্গা এলাকায় বিমানবন্দর, ব্যাংক, স্কুল-কলেজ দ্রুত শহরে আসা-যাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের ভরসা এই ১৫নং সিইউএফএল ফেরিঘাট।
এই ঘাট হয়ে প্রতিদিন বিমানবন্দর ও শহরে যাতায়াত করে আনোয়ারা, পটিয়া, বাঁশখালী চন্দনাইশের অন্তত ১৮ হাজার মানুষ। একমাত্র ঘাট পেরিয়েই বিমানে উঠে এই দক্ষিণ চট্রগ্রামের মানুষ। এটা এই এলাকার মানুষের ঐতিহ্য মনে করেন তারা।
এই ঘাটের অবস্থার মতোই এখানে যাত্রীদেরও দূরবস্থায় পড়তে হয় প্রতিনিয়ত। ঘাটে কোন নিয়ম শৃংখলা নেই। তাছাড়া এই ঘাটটি কর্ণফুলীর মোহনায়। প্রায়শ: পণ্য বোঝাই জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আসা যাওয়া করে। স্রোতের তীব্রতা বেশি হওয়ায় এখানে নদী পারাপারে ঝুঁকিও বেশি। কিন্তু চলাচলকারী নৌকাগুলো ইচ্ছামত যাত্রী বোঝাই করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলোতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ২০/২৫ জন হলেও কখনো কখনো নেওয়া হয় অর্ধশত যাত্রীও। ফলে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে বেশি।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান- পতেঙ্গা ১৫ নম্বর ঘাট ও সিইউএফএল ঘাটে যাত্রীরা জিম্মি, পারাপারে ভাড়া বেশি, ২৫ জন যাত্রী নেওয়ার অনুমতি থাকলেও যাত্রী নেয়া হয় ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ। বর্ষাকালে পারাপারের সময় ঝুঁকি বেশি থাকে। মাঝিরা যাত্রীদের জীবনের তোয়াক্কা করে না। মাঝ নদীতে সব মাঝি যাত্রীর হাতে নৌকা চালানোর দায়িত্ব দিয়ে ভাড়া তোলা, আছে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগও। সকল অনিয়মের ফলে বড় জাহাজের ধাক্কায় নৌকাডুবির আশংকাও থাকে। এসব অভিযোগ প্রায়ই শোনা যাচ্ছিলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হয়।
তিনি আরো বলেন, আনোয়ারার মধ্য যত জায়গায় অনিয়মের তথ্য আসবে সাথে সাথে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে। উল্লেখ্য ২০০৫ সালে, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে ভয়াবহ দূর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারায় বন্দর কমিনিউটি সেন্টার এলাকার এক টেইলার্স মালিক।
আনোয়ারার মধ্য যত জায়গায় অনিয়মের তথ্য আসবে সাথে সাথে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে। উল্লেখ্য ২০০৫ সালে, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে ভয়াবহ দূর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারায় বন্দর কমিনিউটি সেন্টার এলাকার এক টেইলার্স মালিক।