রানা সাত্তার, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন যাবৎ মসজিদের নামকরণ নিয়ে চলে আসা বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে মসজিদের নাম দিলেন হযরত আবু বক্কর (র:) জামে মসজিদ।আনন্দ উল্লাস বিরাজমান জুমা আদায় করতে আসা মুসুল্লিদের মাঝে।
১৩ মার্চ ২০২০, শুক্রবার ভূমিমন্ত্রী পবিত্র জুমার নামায আদায়ের মধ্য দিয়ে আনোয়ারা বারশত ইউনিয়নের ওয়াহেদ পাড়ায় একটি মসজিদকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন চলমান মতবিরোধের ইতি টানেন।
এসময় ভূমিমন্ত্রী বলেন, সবাইকে মরতে হবে। পরকালের জন্য অর্থ সম্পদ কিছুই যাবেনা, সাথে যাবে আমল। দুনিয়ার লোভ-লালসা ছেড়ে দিয়ে আমাদের ইবাদত করতে হবে। কি হবে ক্ষমতা আর বিত্ত, জৌলস দিয়ে। সীমিত আয়ু নিয়ে মানুষ দুনিয়াতে আসে আবার সব ফেলে রেখে চলে যেতে হয়।
নামাজ পরবর্তী ভূমিমন্ত্রী জানান, পুর্বের সব কিছু ভুলে সবাই সম্মিলিতভাবে কাধে কাধ মিলিয়ে মসজিদে এসে নিয়মিত নামাজ আদায় করবেন। বিতর্কিত সব নাম আজ থেকে পিছে ফেলে পবিত্র কোরআন থেকে সাহাবী হযরত আবু বক্কর (র:) নাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন করে কেউ ঝামেলা বা রাজনিতি করতে চাইলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।সকল অপরাধী আমার কাছে সমান। কে কোন দল করে তা দেখার বিষয় নয়। কেউ যদি খারাপ কাজে আমার নাম ভাঙ্গিয়ে চলে তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করবেন।
উল্লেখ্য, দিনের শুরুতে ১৩ মার্চ ২০২০, শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারশত ইউনিয়নের মিন্নাত আলী দোভাষী হাটে আধুনিক ডাকঘর উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী। সেই সাথে একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন তিনি।
উক্ত দিনব্যাপী সিরিয়াল মহাত্তোম কাজের সঙ্গী ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ মান্নান চৌধুরী, সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এমএ মালেক চৌধুরী, বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ূম শাহ্, বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলাইমান, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম প্রমূখ।