রানা সাত্তার, চট্টগ্রাম, প্রতিনিধি:
গোটা দেশেই ভয়ঙ্কর তাণ্ডব চালাচ্ছে মহামারী করোনা। মোট আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে আরও আগেই। করোনা হানা দিয়েছে বাংলাদেশের সর্বস্তরে। ছাড় পায়নি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। দেশব্যাপী মারা যাচ্ছে শত শত করোনার ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধারা।
ইতিমধ্যে সরাসরি নিজে উপস্থিত থেকে জনসচেতনতায় রাত-দিন মাঠে ঘাঠে কাজ করেছেন আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ। শেষপর্যন্ত ফ্রন্ট লাইনের এই যোদ্ধাও আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজেই।
ইউএনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজ ফেইসবুকে জানান, করোনার কিছু উপসর্গ পরিলক্ষিত হওয়ায় গত ২৪ জুন নমুনা পরীক্ষা করতে দেন, ৫দিন পর ২৯ জুন সোমবার রাতে প্রদত্ত রিপোর্টে ইউএনও’র করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়।
উপসর্গ হিসাবে তেমন বেশি কিছু ছিলনা, ছিল শুধু গায়ে হালকা জ্বর তবে তিনি শাররীক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন। সুস্থতা কামনায় তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে তিনি জানান, আমাদের সবাইকে এখন আরো সতর্ক হতে হবে। সবাই ঘর থেকে বিনা প্রয়োজনে যেন বের না হই। বর্তমানে আইসোলেশানে চিকিৎসা নিচ্ছি এবং প্রয়োজনীয় বিধি নিষেধ মেনে চলছি। করোনা নিয়ে আতংক নয়, সতর্কতাও সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। সবাই আমার জন্যে দোয়া করবেন যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারি। সুস্থ হয়ে আবার করোনা মোকাবিলায় আপনাদের সাথে থাকতে চাই।
উল্লেখ্য, মহামারি করোনার শুরু থেকেই ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টি, প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্যের কৃত্রিম সংকট ও দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে হাট-বাজারগুলো খোলা মাঠে স্থানান্তরসহ বেশ কিছুদিন ধরে তিনি প্রত্যন্ত এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। মাঝে মাঝে অবৈধ মাটি কাটা, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারি দোকানদার, কোচিং সেন্টারের মালিক ও বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন আইন না মানার অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা করেছিলেন। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গরীব-অসহায় পরিবারের তালিকা করে খাদ্য সহায়তা প্রদানসহ দায়িত্বশীল কর্মতৎপরতায় উপজেলার সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ। খুব গোছালো ভাবে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা ও ভুমিমন্ত্রীর প্রণোদনা যথাযথ মানুষের হাতে পৌছে দিতে সফল হয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও যখন যেদিক থেকে খাবার সংকটের তথ্য জানিয়েছেন অতি দ্রুত তিনি খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিজ হাতে পৌছে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত শতভাগ সফল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের তালিকায় রয়েছেন ইউএনও শেখ জোবায়ের আহমেদ।