হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: প্রায় পাঁচ বছর অনুপস্থিতির পর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোয় ফিরেছে যুক্তরাষ্ট্র। পক্ষপাতিত্ব ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে ২০১৯ সালে সংস্থাটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মাসের শুরুর দিকে মার্কিন কর্মকর্তারা ইউনেস্কোতে ফিরে আসার ইচ্ছা
১১ জুলাই ২০২৩, মঙ্গলবার ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজোলে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনেস্কোয় ফিরেছে। চলতি মাসের শেষের দিকে প্যারিসে উচ্চপর্যায়ে কর্মকর্তাদের নিয়ে স্বাগত অনুষ্ঠান হবে। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেন, ‘এটি ইউনেস্কোর জন্য চমৎকার খবর। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা যে কার্যক্রম শুরু করেছি যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে ইউনেস্কোর সক্ষমতা আরও শক্তিশালী হবে।’
এর আগে গত ১২ জুন ইউনেস্কোর এক সভায় ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজুলে জানান, প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জো বাইডেন প্রশাসন ইউনেস্কোর বকেয়ার ১৫ কোটি ডলার দিতে আগ্রহী। এরপর গত সপ্তাহে ফ্রান্সের প্যারিসে সংস্থার সদর দফতরে যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রত্যাবর্তন প্রস্তাব আলোচনা ও এরপর ভোটাভুটি হয়।
সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৩২টি সদস্য রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে যোগদানের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ১০টি দেশ। যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে এখন ইউনেস্কোর মোট সদস্য সংখ্যা হলো ১৯৪টি।
২০১১ সালে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয় ইউনেস্কো। সংস্থাটির এমন সিদ্ধান্তে অভিযোগ তোলে ইসরাইল ও তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় থেকেই সংস্থাটিতে অর্থ দেয়া বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। এরপর ২০১৩ সাল থেকে দেশ দুটি তাদের ভোটাধিকার হারায়।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। তার সঙ্গে সঙ্গে ইসরাইলও একই সিদ্ধান্ত জানায়। দেশ দুটির অভিযোগ ছিল, ইউনেস্কো ইসরাইল ও ইহুদিবিদ্বেষী। এরপর ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে যায় দেশ দুটি।