রানা সাত্তার, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৮০ লিটার চোলাই মদসহ পৃথক দুটি অভিযানে দুই মাদক কারবারিসহ দুটি সিএনজি আটক করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এই পথে মাদক সরবরাহ করে থাকে।
২৪ জুন ২০২০, বুধবার রাতে খাসখামা গ্রামের এলাকাবাসী চোলাই মদ বহনকারী একটি সিএনজিসহ ইব্রাহিম খলিল (২৬) নামের এক চালককে আটক করে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আনোয়ারা থানা পুলিশ হাজির হয়ে সিএনজি’র চালকসহ ৮০ লিটার দেশিয় চোলাই মদ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় পালিয়ে যায় অপর একটি সিএনজিসহ চালক। এরপর দ্বিতীয় অভিযানে ২৫ জুন ২০২০, বৃহস্পতিবার সকালে পালিয়ে যাওয়া অপর সিএনজি অটোরিকশাচালক মঞ্জুর আলমকে (২৫) আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে উপসহকারী পুলিশ পরির্দশক আবুল ফয়েজ জুয়েল বলেন, গ্রেপ্তাকৃত আসামীরা হলেন ইব্রাহিম খলিল। সে নোয়াখালীর মো: রফিক উল্লাহরপুত্র এবং অপর জন মঞ্জুর, সে হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিনের পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এটা নতুন কিছু নয়। এইরকম মাদক ব্যবসয়ীরা এই পথে প্রায়ই মাদক নিয়ে আসা যাওয়া করে। উপজেলার খাসখামা কলঘর দোয়ার রমজান আলীর মার্কেটের সামনের সড়ক দিয়ে সিএনজি যোগে প্রায়ই চোলাই মদ নিয়ে যাওয়াত করে এসব মদ ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন সময় মাদক কেনাবেচার জন্য লোকজনের আনাগোনা দেখেও ভয়ে কিছু বলে না এলাকাবাসী। সন্ধ্যা হলে এই রাস্তায় মোটর সাইকেল চলাচল বৃদ্ধি পায় তারাও কোনো না কোনোভাবে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে মনে করছে এলাকাবাসীরা। এই সড়কটি একটু নিরিবিলি বিধায় তারা এই সুযোগটি ব্যবহার করছে সড়কটি। অতিসত্ত্বর সড়কটিতে পুলিশ পেট্রল ডিউটি বাড়ানো উচিত।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল মাহমুদ জানান, এলাকাবাসী এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক রেখেছে এ ধরনের খবর পেয়ে সদর থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে যায় এবং তার রেশ ধরে পরদিন আরেকটি সফল অভিযান চালায় আনোয়ারা থানা পুলিশ টিম। তাদের বিরুদ্ধের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণে এলাকাবাসীর এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, এভাবে যদি স্থানীয়রা সচেতন নাগরিকের কাজ করেন তাহলে এগিয়ে যাবে দেশ। অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি জনগণের সহায়তা খুব জরুরী।