প্রবাস মেলা ডেস্ক: অবশেষে করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে আড়াই বছর পর পর্যটকদের জন্য খুলতে চলেছে ভুটানের সীমান্ত। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে ভুটান গেট। ২৯ জুন ২০২২, বুধবার ভুটান সরকারের তরফ থেকে এই নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে। তবে পর্যটকদের জন্য কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছে ভুটান।
দেশে প্রবেশের পর কোয়ারেন্টাইনের কথা না বলা হলেও দিতে হবে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি। বিদেশি পর্যটকদের প্রতিরাতের জন্য ৬৫ ডলার থেকে ২০০ ডলার হবে মাথাপিছু। আর বাংলাদেশ ও ভারতীয় পর্যটকদের জন্য মাথাপিছু ১২০০ টাকা ধার্য করতে চলেছে ভুটান সরকার।
পাশাপাশি আগের মতো মিনিমাম ডেইলি প্যাকেজ রেট নেয়া হবে না। প্রথমে ভুটানে প্রবেশ করলে পর্যটকদের থেকে নেয়া হতো দিনবাবদ কিছু টাকা। অর্থাৎ পর্যটকরা যতদিন সে দেশে থাকবে, তা ট্যুর অপারেটরদের কাছে জমা দিতে হবে, এই নিয়মটি আর থাকছে না।
বর্তমানে পর্যটকদের তার বদলে এসডিএফ অর্থাৎ সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি সরাসরি ভুটান সরকারকে দিতে হবে। মেনে চলতে হবে কোভিড গাইড। হোটেল, রেস্তোরাঁগুলোকেও তাই বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতেও বলা হয়েছে।
ভুটানের বিদেশমন্ত্রী ড. তান্ডি দোরজি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘পর্যটক কেন্দ্রের অনুমতি নিয়ে, থিম্পুতে পর্যটকরা নিজেদের মতো ঘুরতে পারবেন। তবে ফাজোডিং ট্রেক বা ভুটানের অন্য কোথাও যেতে হলে সঙ্গে একজন গাইড বাধ্যতামূলক নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে পর্যটক যদি চান, তবে প্রতিদিন একটি গাইড পরিবর্তন করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বহুদিন থেকে ভুটান বন্ধ রয়েছে। তাই আমরাও চাইছি, ভুটান খুলে যাক। যাতে পর্যটকদের স্বাভাবিক যাতায়াত ঘটে এবং পর্যটকরা ঘুরে যেতে পারেন। তা ছাড়া দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্য হলো দর্শনার্থীদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করা ও আমাদের নাগরিকদের জন্য পেশাগত কাজের ব্যবস্থা করা।’
২০২০ সালে করোনার থাবা পড়তেই বন্ধ হয়ে যায় ভুটান গেট। প্রথম অবস্থায় পর্যটক ও পণ্য দুটির প্রবেশ বন্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে শুধু পণ্য প্রবেশের অনুমতি দেয় ভুটান সরকার।