শরীফ মিজান, কুয়েত থেকে:
আজ ঐতিহাসিক ২৩ জুন, আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে দলটি। পরে ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রসার ঘটে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পাকিস্তানি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সব আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে দলটি। ১৯৫২ সালের মায়ের ভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। ৬২ সালে গণবিরোধী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন। ১৯৬৬ সালে ছয় দফাভিত্তিক বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন ও ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে সাফল্যের পথ ধরে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জনগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে নিরঙ্কুশ রায় দেয়। ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র যুদ্ধের পর ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
এরপর স্বাধীনতার তিন বছর পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর পাল্টে যায় দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট। পরে দীর্ঘ সময় ধরে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আবারও আন্দোলনে নেতৃত্বে দেয় দলটি। দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে বিপর্যয় কাটিয়ে দলটি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসনে বিজয়ী হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দলটি টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে, ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর নির্বাচনে দলটি টানা ৩য় বার ক্ষমতায় আসে এবং আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ক্ষমতাধর ও সিনিয়র প্রধানমন্ত্রী।