প্রবাস মেলা ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চান সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য, প্রবীন আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম। ইতোমধ্যে তার পক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দিয়ে মনোনয়নপত্র কেনা হয়েছে।
একই সঙ্গে কুষ্টিয়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র কিনেছেন আমীর-উল ইসলামের মেয়ে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। মনোনয়নপত্র পূরণ করে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে তা জমা দেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্টে নিজ চেম্বারে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম নিজেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ ও মনোনয়নপত্র কেনার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এলাকার মানুষ আমাকে চাইছে। দেশের মানুষও আমাকে সংসদে দেখতে চায়। আমিও নির্বাচন করতে চাই। জাতীয় সংসদে যেতে চাই।’
মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালের বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলের ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম। তিনি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল শপথ নেওয়া স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের সঙ্গে নানাভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার আলোকে ওই বছরের ১০ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের রচয়িতা ছিলেন আমীর-উল ইসলাম। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তরুণ আইনজীবী হিসেবে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে কুষ্টিয়ার একটি নির্বাচনী আসনে জয়লাভ করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে জেলার একটি আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম। ৮৭ বছর বয়সী প্রবীণ এ আইনজীবী এখনো প্রায় নিয়মিত উচ্চ আদালতে আইনি পেশায় জড়িত আছে।
অন্যদিকে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের মেয়ে দেশের স্বনামধন্য আইনজীবীদের একজন। তানিয়া আমীর বর্তমানে আমীর অ্যান্ড আমীর ল অ্যাসোসিয়েশনের পার্টনার ও সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট। তিনি বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের দ্বৈত নাগরিক। ইতোমধ্যে দেশের শীর্ষ আদালতে আলোচিত মামলায় লড়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্য থেকে এলএলবি অনার্স শেষে ব্যারিস্টার হন। বহুমাত্রিক এই ব্যক্তিত্ব আইন পেশার পাশাপাশি সক্রিয় মানবাধিকারকর্মী ও পরিবেশকর্মী হিসেবে। কাজ করছেন নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার রক্ষা ও বিভিন্ন এনজিওতে।