হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: ২৩ জুন , ২০২২ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮ টায় নিউইয়র্ক এর জ্যাকসন হাইটসের ইটজী রেস্টুরেন্টে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ ও আওয়ামী পরিবারের পক্ষ থেকে আওয়ামীলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পদ্মাসেতুর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. প্রদীপ রন্জন কর। সাংবদিকদের প্রশ্ন উত্তরের জবাব দেন আওয়ামীলীগ নেতা সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, তোফায়েল চৌধুরী, এম এ করিম জাহাগীর, জালাল উদ্দিন জলিল ও মো: আকতার হোসেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা রমেশ নাথ, যুক্তরাষ্ট্র জাসদ সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ঝিকু ও একে চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. প্রদীপ রন্জন কর বলেন- মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৩ জুন। আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাঙ্গালী জাতির গৌরবজ্জল অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস। এ দেশের সকল গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল সাহসী মিছিলের নাম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। ৭৩ বছর ধরে আওয়ামীলীগ আছে মানুষের সাথে, মানুষের পাশে গৌরবের সাথে। তিনি সবাইকে জানাই রক্তিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি আরো উল্লেখ্য করেন আওয়ামীলীগের আরেক মহা অবদান স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ। পদ্মাসেতু এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। বহুমাত্রিক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও জটিল রকমের প্রাকৃতিক প্রতিকুলতা মোকাবিলা করে নিজেদের অর্থেই নির্মিত হয়েছে এ সেতুটি। বহুমাত্রিক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও বিশ্ব ব্যাংক তহবিল প্রত্যাহার করলে প্রবাসে সবপ্রথম জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ হয় এবং সেই সাথে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নিকট প্রত্যহ শতশত লেটীর কাম্পেইন শুরু হয়। কাম্পেইনের এক পর্যায় বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থকে চিঠি দিয়ে তাদের অবস্থা ব্যখা করে। এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নদীবেষ্টিত ভূখণ্ড সরাসরি রাজধানীর সঙ্গে সংযুক্ত হবে। পদ্মাসেতু যেমন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ৫ কোটি মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক সুবাতাস বয়ে আনবে, তেমনি কমপক্ষে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ জাতীয় আয় বৃদ্ধিও নিশ্চিত করবে। ফলে, লাভবান হবে পুরো দেশের মানুষ। প্রসার হবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা অত্যন্ত সাহসিকতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নেই নির্মিত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শী পরিকল্পনায় এবং বাঙালি জাতির অদম্য প্রচেষ্টায় তা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। ২৫ জুন, উদ্বোধন হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু আমাদের গর্বের সম্পদ, অহংকারের নিদর্শন। এ সেতু আমাদের মর্যাদার প্রতীক, আত্মসম্মানের প্রতীক, কারও কাছে মাথা নত না করে মাথা উঁচু করার প্রতীক, সক্ষমতার প্রতীক ও উন্নয়নের প্রতীক। আর এ প্রতীক রচনার বীর ও সাহসী নায়ক সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে জানাই সহস্র সালাম।