প্রবাস মেলা ডেস্ক: “সারাদেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা” দাবিতে শনিবার দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ মিছিল। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার “অসহযোগ আন্দোলন”। এই আন্দোলনকে সফল করতে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রতি বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুকে এসব নির্দেশনা দিয়ে পোস্ট দেন।
নির্দেশনাগুলো হলো–
১. কেউ কোনো ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা দিবেন না।
২. বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিলসহ কোনো ধরনের বিল পরিশোধ করবেন না।
৩. সব ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। কেউ অফিসে যাবে না, মাস শেষে বেতন তুলবে।
৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
৫. প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিট্যান্স দেশে পাঠাবেন না।
৬. সব ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন।
৭. বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দিবেন না। কোনো ধরনের পণ্য খালাস করবেন না।
৮. দেশের কোনো কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাই বোনেরা কাজে যাবেন না।
৯. গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না।
১০. জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রবিবারে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।
১১. পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ব্যতীত কোনো ধরনের প্রটোকল, রায়ট ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধুমাত্র থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।
১২. দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সব অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।
১৩. বিজিবি ও নৌ-বাহিনী ব্যতীত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌ-বাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।
১৪. আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।
১৫. বিলাস দ্রব্যের দোকান, শো-রুম, বিপণি-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।
হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহণ, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণ, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণসহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহণ সেবা চালু থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১-১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।