হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: ২৭ মার্চ ২০২১, শনিবার সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী মহা সমারোহে উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে বোম্বে গ্রীলকে অপরূপে সজ্জিত করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের ক্যানভ্যাস, লাল সুবুজের পতাকা, বঙ্গবন্ধুর বিশাল প্রতিকৃতি ও আলোক রশ্মির স্ফুরণ ঘটিয়ে চত্বরটিকে সুসজ্জিতকরণ করা হয়। একদিকে স্বাধীনতা প্রাপ্তির পঞ্চাশ বছর পূর্তি অন্যদিকে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্ম বাষিকী উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণ অরল্যান্ডোর বাঙালিদের জীবনে একত্রে আসেনি। মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ফখরুল আহসান শেলীর সঞ্চালনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
পবিত্র কোরবান তেলওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পরে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যাঁরা, সেই তিরিশ লক্ষ শহীদ ও জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপরে আমাদের গৌরবের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন কর্মের উপর আলোচনা হয়। নিপীড়িত বাঙালি ও বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছে জাতি ৪৬ বছর পূর্বে, কিন্তু তাঁর আত্মত্যাগ সংগ্রাম সাধনা মানবিকতায় তিনি মিশে গেছেন ১৭ কোটি বাঙালির অনুভূতি ও অন্তরাত্মায়। এই অপ্রতিদ্বন্দী কিংবদন্তি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিয়ে বাঙালি মুক্তির আলোক রশ্মির প্রতিসরণ ঘটান। একজন পিতা নির্মম নির্যাতন জেল জুলুম সহ্য করে বিশ্বের বুকে স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন। আবার তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীন দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে সুপরিচিত করেছেন। পিতা কন্যার এমন সাফল্য, সুযোগ্য নেত্রত্ব বিশ্বে বিরল।
মনোজ্ঞ আলোচনায় অংশ নেন, আবিদ আমির মো: আকমরুমেল ইলিয়াস ঠাকুর, মো: নূর শামসুস তোহা, শামসুর রহমান সামু, এটর্নি জোবায়দা ইকবাল, মুনিরুল ইসলাম, জুয়েল চৌধুরী, সাহেদ ও পালনসহ আরো অনেকে। অসুস্থ থাকায় হাপাতাল থেকে সংগঠনের সভাপতি মোয়াজ্জেম ইকবাল সকলকে আনন্দানুষ্ঠানে আসার জন্যে ধন্যবাদ জানান। কাব্য জলসা বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ রক্তদান স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু জীবন্ত হয়ে চেতনাকে শাণিত করে আবৃতিকর তালাত নবনী মিলি আহসান লিপির কণ্ঠে। আনন্দের সুর লহরী বেঁজে উঠে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক এবং কেক কাঁটার সময়। আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে নুতন প্রজন্ম নারী পুরুষ বুকে বঙ্গবন্ধুর ছবি বুকে ধারণ করে ও জাতীয় পতাকা তুলে সম্মান প্রদর্শন করে। এতে নেতৃত্ব দেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা উপদেষ্ঠা দলীয় ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী গান দিয়ে সাঁজানো মনোরম গীতিআলখো প্রাণ জুড়িয়ে দেন তালাত চৌধুরী বাচ্চু বাদল পল্লী ইসলাম।
আনন্দানুষ্ঠানের রসনা নিবারণে সুস্বাধু খাদ্য পরিবেশনে যথাযথ ভূমিকা রাখেন কনক রেজা শাহেদ মইনুল শাজাহান। ক্যামেরা, মঞ্চ সজ্জা ও স্থিরচিত্র ধারণে মেহেদী মুন খোকন ছিল অনবদ্য। স্বাধীনতা শহীদ ও জাতীর জনকের আত্মার মাগফেরাত কামণা মোনাযাত করেন মোহাম্মদ জসীম। পরিশেষে আতশ বাঁজির মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও শত ফুলে শতবর্ষ পালনের এই উজ্জ্বল সমীরণের যবনিকা হয় যা অর্ল্যান্ডো বাসীর নিকট গৌরব ও আনন্দের মাইলফলক হিসেবে চিহৃত হয়ে থাকবে।