প্রবাস মেলা ডেস্ক: বিশ্বে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে কানাডা। তবে প্রথমবারের মতো অভিবাসী কমানোর ঘোষণা দিয়েছে কানাডা সরকার। শিগগিরই দেশটিতে থাকা অস্থায়ী বাসিন্দা হ্রাস এবং স্থায়ী অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কানাডার কেন্দ্রীয় সরকারের অভিবাসন বিষয়কমন্ত্রী মার্ক মিলার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত আবাসন সংকট দূর করা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নাগরিক সেবা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে আবাসন সংকটের কারণে দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থী কমানোর কথা ভাবছে বলে জানিয়েছিলেন মার্ক মিলার।
সম্প্রতি কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। একইসঙ্গে বেড়েছে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যাও। ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা।
অস্থায়ী বাসিন্দাদের বড় অংশই এককালীন ভিসায় দেশটিতে যান। বিগত কয়েক বছরে শ্রমিক ঘাটতি পুষিয়ে অর্থনীতিতে গতি আনতে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীলতার ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে কানাডার ট্রুডো সরকার বিরোধীদের রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিদেশিদের কারণে আবাসন সংকট দেখা দিয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন জরুরি সেবার ব্যাঘাতের মূল কারণ বিদেশিরা।
এ বিষয়ে মন্ত্রী মার্ক মিলার জানান, কানাডা সরকার আগামী তিন বছরের মধ্যে এই সংখ্যা কমিয়ে আনবে। ঘোষণা অনুযায়ী, বর্তমানে যে পরিমাণ বিদেশি অস্থায়ী ভিত্তিতে কানাডায় বসবাস করছেন, প্রতি বছর তাদের সাড়ে ৬ শতাংশ হারে কমানো হবে।
আগামী মে মাসে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে কানাডার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মিলার। তিনি বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, কানাডায় যে পরিমাণ অস্থায়ী বাসিন্দা প্রবেশ করছেন তা একটি গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে আছে।’
মিলার আরও বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা এটি (অস্থায়ী বাসিন্দা) কমানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছি। এমনকি যারা কানাডায় স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে আসতে চান, সেই পর্যায়েই আমরা বিষয়টিকে কমিয়ে আনার চেষ্টা করবো।’