আখি সীমা কাওসার, রোম, ইতালি প্রতিনিধি: ইতালিতে অভিবাসী আইন কার্যকর করায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সম্প্রতি দেশটিতে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বাস, ট্রেন, মেট্রো সবখানেই অনেক কন্ট্রোল চলছে, এতে করে বাংলাদেশি প্রবাসীরা সহ অন্যান্য দেশের অভিবাসীরাও এক আতংকে দিনাতিপাত করছে।
সন্ত্রাসবাদ যৌন হয়রানি, মানবপাচার ও মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে এই নুতন আইনে। অভিজ্ঞমহল মনে করে অন্যান্য দেশের অভিবাসীদের তুলনায় বাংলাদেশের প্রবাসীদের অবস্থান ভালো (কিছু কিছু অনৈতিক ঘটনা ছাড়া বাংলাদেশিরা ইতিলিয়ানদের ঘর বাড়ি দখলের ঘটনা নেই বললেই চলে।) তাই , বাংলাদেশিদের জন্য খুব একটা সমস্যা হবে না কারণ ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা বেশিরভাগ বৈধ।
ইতালি অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান অষ্টম । এর মধ্যে ২০১৬ সালে বাংলদেশিদের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার। ২০১৭ সালে কমে গিয়ে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ২৫ হাজার। ইতোমধ্যে অনেকেই ইতালিয়ান পাসপোর্ট পাওয়ার পর লন্ডনে চলে গেছেন। গত এক বছরে ২০ হাজার বাংলদেশি ইতালি ছেড়েছেন। তাছাড়া কিছুদিন আগে পাসপোর্টে নাম, জন্ম তারিখ অন্যান্য সংশোধনীর জন্য পাসপোর্ট দেওয়া বন্ধ ছিল। সেই সমস্যা দূতাবাস অনেকটা সমাধান করেছেন। তাই এখন কোন বাংলাদেশির বৈধতা পেতে সমস্যা নেই।
প্রবীন বাংলাদেশের প্রবাসীদের ধারণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ আইন বাংলাদেশিদের চিন্তার কোন কারণ হতে পারে না। আমাদের এখন উচিত এই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ঘুরে দাঁড়াতে এবং আইন শৃঙ্খলার উন্নীত করতে এই দেশের সরকার যে আইন করেছে তাকে স্বাগত জানানো। ইতালির অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হলে লাভবান আমরাও হবো । তাই আমাদের এদেশের সব নিয়ম কানুন মেনেই চললে আমাদের মঙ্গল হবে।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি একটি টেলিভিশনে সাক্ষাতকারে বলেন, ইতালি অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে আছে। তাই ঋণ কমাতে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ অনেক ক্ষেত্র থেকে অর্থনৈতিক চাপ কমিয়ে আনা হয়েছে। ফলে দেশ আস্তে আস্তে ঋণমুক্ত হবে। ঋণমুক্ত হতে নতুন আইনে বাংলাদেশিসহ সকল অভিবাসীদের সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে আনা হবে। এছাড়া যেসব অভিবাসী এর আগে ইতালিতে মানবিক আশ্রয় চেয়েছে তা এখন স্বল্প আকারে বিশেষ আবেদন হিসেবে গণ্য করা হবে। সেই সঙ্গে কঠোরভাবে তদন্ত করা হবে আশ্রয় প্রার্থীদের আবেদন। যেহেতু অতীতে বাংলাদেশ সহ আরও কয়েকটি দেশের আবেদন কারীর বিভিন্ন কাগজপত্র সীল জাল প্রমানিত হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধদেরকে কঠোর হস্তে দমন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইতালিয়ানদের কর্মব্যবস্থা নিশ্চিত করতে অবৈধদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে কয়েকজন ইতিলিয়ানের সাথে এই আইনটি তারা কিভাবে দেখছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এই আইনটি আরও আগে করা দরকার ছিলো তারা মাততেও সালবিনীকে ধন্যবাদ দেন এই পদক্ষেপে নেয়ার জন্য।