প্রবাস মেলা ডেস্ক: ক্যারিয়ারের প্রায় দুই দশক পার করে এবারই প্রথম অভিনয়ের খাতাটা খুললেন কণ্ঠশিল্পী ন্যানসি। নায়ক হিসেবে পেয়েছেন ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’খ্যাত অভিনেতা ইমতিয়াজ বর্ষণকে।
দু’জনার মধ্যে অন্যতম মিল, ন্যানসির মতো বর্ষণেরও গানের প্রতি ভালোই ঝোঁক। অভিনয়ের পাশে গাওয়ার চেষ্টা করেন নিয়মিত। সেসব প্রকাশও করেন। তবে ন্যানসির বেলায় গানের পাশে অভিনয়ের বিষয়টি একদম নতুন। অল্প ক’টি গানচিত্রে তার উপস্থিতি থাকলেও শিল্পী হিসেবে ঠোঁট মেলানো পর্যন্তই শেষ। মূল খবর, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও নাটক নির্মাণে আলাদা প্রশংসা কুড়ানো ভিকি জাহেদ এবার ন্যানসি-বর্ষণকে জুটি বানালেন। এরমধ্যে শুটিংও শেষ। চলছে সম্পাদনা। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জানালো, চলতি সপ্তাহেই এটি ইউটিউবে উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
কাজটি করে ন্যানসির প্রতিক্রিয়া বেশ দীর্ঘ। কারণ, অভিনয়ের অভিজ্ঞতাটি তার কাছে নতুন ও কঠিন বলেই মনে হলো। তিনি বলেন, ‘নিজের গানে লিপসিং করার কিছু অভিজ্ঞতা আছে। তবে অভিনয়টা যে এতো কঠিন, সেটা এবার হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। কয়েক ঘণ্টার শুটিংয়ে আটবার শাড়ি পাল্টেছি! আমি জীবনে কখনও একদিনে এতবার পোশাক পাল্টাইনি। আর অভিনয়ের কথা কি বলবো, এটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা। ভিকিকে ধন্যবাদ, আমার দুর্বল অভিনয়-অ্যাক্সপ্রেশন সহ্য করার জন্য। এই শুটিংটা করে অভিনয়শিল্পীদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেল। এটা সত্যিই কঠিন ও অসাধারণ একটা কাজ।’
জানা গেল, ভিকি জাহেদ দেড় বছর পর এমন কোনও নির্মাণে জড়ালেন। অর্থাৎ গেল দেড় বছর এই নির্মাতা কোনও মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেননি। ৩০ বছরের পুরনো ‘হারানো দিনের মতো হারিয়ে গেছ তুমি’ নামের বিখ্যাত গানটির সূত্র ধরেই গল্পনির্ভর গানচিত্রটি তৈরি করেছেন এই নির্মাতা।
ন্যানসির অভিনয়ে নির্মাতা ভিকি জাহেদ মুগ্ধ! তার ভাষায়, ‘অনেকদিন আমি আর মিউজিক ভিডিও করছি না। এই কাজটা করার মূল কারণ কণ্ঠশিল্পী ন্যানসি। কারণ, উনার আর হাবিবের গান শুনেই মূলত আমাদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় আর প্রেমের জীবন কেটেছে। ফলে উনাদের প্রতি সেই আবেগটা এখনও আছে। পরে কাজ করতে এসে জানলাম, উনি এর আগে সে অর্থে লিপসিং ছাড়া কিছুই করেননি! একটু টেনশনে পড়লাম। কারণ, যার অভিজ্ঞতা নেই তাকে দিয়ে অভিনয় করানো খুবই কঠিন। বিপরীতে বর্ষণ খুবই ভালো জাতের অভিনেতা। ক্যামেরা অন হওয়ার পর আমার এসব দুশ্চিন্তা কেটে গেল। তার (ন্যানসি) হাসি আর এক্সপ্রেশনে উড়ে গেলাম। আমি তো মনে করি, অভিনয়ে আরও আগেই তাকে কাজে লাগানো দরকার ছিলো।’
ভিডিও করার আগে, ইমন চৌধুরীর নতুন সংগীতায়োজনে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ন্যানসি। মনিরুজ্জামান মনিরের কথায় আলাউদ্দিন আলীর সুরে এই গানটি ৯০ দশকের শুরুতে বিটিভির জন্য প্রথম গেয়েছেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ। এরপর অডিও ক্যাসেটের জন্য গেয়েছেন মিতালী মুখার্জি। মূলত মিতালীর সূত্র ধরেই গানটি জনপ্রিয়তা পায়।
সেই গানটিকে চলতি প্রজন্মের শ্রোতা-দর্শকের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যেই নতুনকরে প্রকাশের উদ্যোগ নিলো ঐতিহ্যবাহী অনুপম রেকর্ডিং।