প্রবাস মেলা ডেস্ক: পাকিস্তানের একটি আদালত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের রায় অনুযায়ী, ২০১৮ সালে তাদের বিয়ে ইসলামিক আইন লঙ্ঘন করেছে। খবর আল জাজিরার।
রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে যেখানে ইমরান কারাভোগ করছেন, সেখানে স্থাপিত একটি বেসামরিক আদালত শনিবার এ রায় দেন। রায়ের সময় তারা দুজনই উপস্থিত ছিলেন। আদালত তাদের এক মিলিয়ন রুপি জরিমানা করেছেন।
এ দম্পতির বিরুদ্ধে গেল বছর মামলাটি দায়ের করেন বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকা। তিনি অভিযোগ করেন, তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ইমরান খানকে পুনরায় বিয়ে করার আগে ইসলামিক আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তিন মাসের বিরতি পালন করেননি।
মানেকার দাবি, তিনি ২০১৭ সালে স্ত্রীকে তালাক দেন। আর ইমরান খান তার তৃতীয় বিয়ের ঘোষণা দেন ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এ নিয়ে ইমরান এক সপ্তাহে তৃতীয়বারের মতো দোষী সাব্যস্ত হলেন। আর তার স্ত্রী দ্বিতীয়বারের মতো। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
গোপন তারবার্তা ফাঁসের অভিযোগে গেল মঙ্গলবার ইমরান ও তার ঘনিষ্ট সহযোগী শাহ মেহমুদ কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। এক দিন পরই তোশাখানা মামলায় ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও দেড় বিলিয়ন রুপি জরিমানা হয়।
খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের একজন কর্মকর্তা সৈয়দ জুলফিকার বুখারি আল জাজিরাকে বলেন, তাড়াহুড়ো করে খানের বিরুদ্ধে যে রায় দেওয়া হয়েছে, তা আইনের উপহাস।