প্রবাস মেলা ডেস্ক: অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় ও সহায়তা দিলে কুয়েত থেকে বিতাড়িত করা হবে বলে সতর্ক করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০২৩ সালের প্রথম সাত মাসে বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০ হাজার নাগরিককে কুয়েত থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। চলতি বছর অবৈধভাবে বসবাসরত প্রায় ৪০ হাজার প্রবাসীকে কুয়েত থেকে নির্বাসিত হতে হবে বলে জানা গেছে।
কুয়েতে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রবাসীর সংখ্যা কমাতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় কমিটি প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করছে। অবৈধ প্রবাসীসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আটকের জন্য ধরপাকড়ও অব্যাহত রয়েছে।
এর অংশ হিসেবে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০ হাজার প্রবাসীকে কুয়েত থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় চার হাজার ভারতীয় নাগরিক, ১ হাজার ৮০০ বাংলাদেশি, ১ হাজার ১০০ মিশরীয়, ১ হাজার ৬০০ শ্রীলঙ্কানসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসী ছিলেন।
এছাড়া আগামী বছরের শুরুর আগে ৪০ হাজার প্রবাসীকে কুয়েত থেকে বিতাড়িত করা হবে বলে ইঙ্গিত রয়েছে। কুয়েতে অবৈধ অভিবাসীদের বসবাসের স্থান হিসেবে চিহ্নিত জিলিব আল সুয়েখ, খাইতান, ফারওয়ানিয়া, মাহবুল্লাহ, আমঘাড়া, ওফরা, আবদালী ও কাবাদের মতো এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করতে যাচ্ছে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
অন্যদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক পরিসংখান অনুযায়ী, গত ৮ মাসে অর্থাৎ চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অপরাধসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে এই মামলা হয়েছে।
বর্তমানে পুলিশের যে হাজত ও নির্বাসনকেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর থেকে চাপ কমাতে জিলিব আল সুয়েখ এবং খাইতানে দুটি ডিটেনসন সেন্টারের সংস্কারকাজ চলছে। দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, আইন ভঙ্গকারীদের খুঁজে বের করতে যেন বিশদ পরিকল্পনা করা হয়।
উল্লেখ্য, কুয়েতের মোট জনসংখ্যার ৬৮.২৬ শতাংশই প্রবাসী।